হাওড়ার বাঁকড়ার ফ্ল্যাটে বন্দি করে সোদপুরের তরুণীকে নির্যাতন এবং পর্নকাণ্ডে যুক্ত থাকায় অভিযুক্ত শ্বেতা খান এবং আরিয়ান খানের ফ্ল্যাটে হানা দিল হাওড়া সিটি পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু জিনিস। যার মধ্যে রয়েছে সিসিটিভি-র ডিভিআর। অন্য দিকে, পুলিশি হেফাজতে থাকা মা-ছেলে বার বার দাবি করছেন, তাঁরা নির্দোষ। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে ডোমজুড় থানার পুলিশের একটি দল বাঁকড়া ফকিরপাড়ায় যায়। তারা শ্বেতা এবং আরিয়ানের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে একটি মোবাইল উদ্ধার করেছে। সেটি সোদপুরের নির্যাতিতার বলেই জানা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি একটি ল্যাপটপ এবং একটি কাঁচি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বস্তুত, মাস ছয় ধরে যে তরুণীকে আটকে রেখে অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর মাথার চুল কেটে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তদন্তকারীদের নজর ছিল ওই ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজে। ফ্ল্যাটে কাদের যাতায়াত ছিল, সেখানে কী হত, সেই সমস্ত তথ্য তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটের সিসিটিভির ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিয়ো রেকর্ডার) পাওয়া গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছে সেটি পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ডিজিটাল ভিডিয়ো রেকর্ডারে সিসি ক্যামেরা থেকে আসা ভিডিয়ো সিগন্যাল রেকর্ড হয়। এটি হার্ডডিস্ক বা অন্যান্য স্টোরেজ় ডিভাইসে ভিডিয়ো সংরক্ষণ করে। যা পরে দেখা বা বিশ্লেষণের কাজে ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন:
গত বুধবার কলকাতার ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে তরুণীকে নির্যাতন এবং পর্নকাণ্ডে অভিযুক্ত শ্বেতা এবং তাঁর পুত্র আরিয়ানকে গ্রেফতার করে ডোমজুড়ের পুলিশ। পাকড়াও হয় শ্বেতার নাবালিকা মেয়েও। মা এবং দুই সন্তানের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন সোদপুরের তরুণী। যিনি মাস ছয়েক বন্দি থাকার পর সপ্তাহ দুই আগে কোনও রকমে শ্বেতাদের ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে বাড়ি যান। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
সংশ্লিষ্ট অভিযোগের তদন্তে নেমে সমস্ত অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত মা-ছেলেকে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।