Advertisement
E-Paper

‘মেয়ে মায়ের চেয়ে বাবাকে বেশি ভালবাসে’, অভিমানে নিজেকে শেষ করলেন চুঁচুড়ার মহিলা ট্র্যাফিককর্মী!

মৃতার নাম দেবপ্রিয়া শেঠ। চুঁচুড়া পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বাবা-মা এবং একমাত্র মেয়ের সঙ্গে থাকতেন ৩৪ বছরের ওই মহিলা। রবিবার রাতে বাপের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মঘাতী হন বলে পরিবারের দাবি।

DEATH

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫ ১৪:০০
Share
Save

অন্য যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর মেলামেশা করা নিয়ে স্বামীর আপত্তি। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ। এবং তার জেরে আত্মহত্যা করলেন চন্দননগর কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগে কর্মরত এক মহিলাকর্মী। পরিবারের দাবি তেমনই। তারা এ-ও জানাচ্ছে, নাবালিকা মেয়ে মায়ের চেয়ে বাবাকে বেশি ভালবাসে। তাই নিয়েও অভিমান ছিল মায়ের। সোমবার সকাল থেকে এ নিয়ে শোরগোল হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। ঘটনার তদন্তে পুলিশ। পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার ঘর থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গিয়েছে। সেটি সুইসাইড নোট বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম দেবপ্রিয়া শেঠ। চুঁচুড়া পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বাবা-মা এবং একমাত্র মেয়ের সঙ্গে থাকতেন ৩৪ বছরের ওই মহিলা। রবিবার রাতে বাপের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মঘাতী হন বলে পরিবারের দাবি। আত্মহত্যার কারণ হিসাবে মৃতার বাবা-মা দাবি করেছেন, জামাইয়ের সঙ্গে মেয়ের অশান্তি। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্বামীর সঙ্গে কলহের জন্য তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন। তার পর থেকে অবসাদে থাকতেন ট্র্যাফিক পুলিশের ওই অস্থায়ী কর্মী। দেবপ্রিয়ার মা মঞ্জুলা ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘মেয়ে এক যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করত। নাতনি সে সব কথা জামাইকে বলে দিত। আমার মেয়ের থেকে ওর বাবাকে বেশি ভালবাসত নাতনি। তা নিয়ে মেয়ের অভিমান ছিল।’’

মৃতার মা জানিয়েছেন, গত সাত মাস ধরে মেয়ে-জামাইয়ের অশান্তি চলছিল। তিনি বলেন, ‘‘জামাই আমাদের বাড়িতে আসত না। তবে যে যুবকের সঙ্গে মেয়ে মিশত তার বাড়িতে গিয়ে অশান্তি করে আসে কয়েক দিন আগে। মেয়ে ডায়েরিতে একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছে। নিজের মৃত্যুর জন্য জামাই আর মেয়েকে দায়ী করেছে।’’ তবে নাতনির ভবিষ্যতের স্বার্থে জামাইয়ের বিরুদ্ধে আলাদা করে তাঁরা থানায় অভিযোগ করবেন না বলে জানান মঞ্জুলা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনও পুলিশ কেস করব না। নাতনিটাকে ওর বাবা দেখবে বলেছে। আমরা আর ক’দিন আছি!’’

এই ঘটনা প্রসঙ্গে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌমিত্র ঘোষ বলেন, ‘‘ট্র্যাফিক হোমগার্ডের কাজ করতেন ওই মহিলা। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল বলে শুনেছি। সেই কারণে গতকাল (রবিবার) ও আত্মহত্যা করে। একটা সুইসাইড নোটও নাকি লিখে গেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’

Death Case Suicide Hooghly Woman Death

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।