Advertisement
E-Paper

নিরাপত্তার আশ্বাস পুলিশের

সুন্দরবন পুলিশ জেলা হওয়ার পর থেকে এই প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে ১৩টি থানা এলাকায়। তাই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে পুরো কাকদ্বীপ মহকুমা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০১:৫৫
শেষ-মুহূর্তে: রাত পোহালেই ভোট। তার জেরেই ব্যস্ত কর্মীরা ছবি: সুজিত দুয়ারি

শেষ-মুহূর্তে: রাত পোহালেই ভোট। তার জেরেই ব্যস্ত কর্মীরা ছবি: সুজিত দুয়ারি

বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করা নিয়ে ব্যাপক গোলমালের প্রেক্ষিতে সোমবারের ভোটপর্ব ঘিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় থাকছে টানটান উত্তেজনা। ভাঙড়, ক্যানিং-সহ বিভিন্ন জায়গায় গোলমালের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ নজর থাকছে সে দিকে। তবে ভোট পার করার জন্য বুথ ঘিরে রাখা হচ্ছে ত্রিস্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি বুথেই রাখা হচ্ছে সশস্ত্র জওয়ান এবং লাঠিধারী সিভিক ভলান্টিয়ার।

সুন্দরবন পুলিশ জেলা হওয়ার পর থেকে এই প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে ১৩টি থানা এলাকায়। তাই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে পুরো কাকদ্বীপ মহকুমা। পুলিশের নিজস্ব ফোর্স ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের ১২০ জন সশস্ত্র পুলিশ জওয়ান শুক্রবার থেকেই সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে রুট মার্চ শুরু করেছে।

সুন্দরবন পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কিছু সংবেদনশীল এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পুলিশের এলাকা দখলে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ভোটের জন্য ২৫০০ সশস্ত্র বাহিনী ছাড়াও সাড়ে তিনশো অফিসার ১৫ জন ইন্সপেক্টর এবং ৫ জন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার কাজ শুরু করেছেন। সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই গোলমেলে এলাকাগুলিতে ব্যাপক ভাবে টহলদারি শুরু করেছি আমরা। বিভিন্ন দলের প্রায় ৩০ জন ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে। গোলমাল পাকাতে পারে এরকম আরও ২০০ লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশা করছি ভোট নির্বিঘ্নেই পার হবে।’’

প্রতিটি বুথ ঘিরে ত্রিস্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করেছে পুলিশ জানা গিয়েছে। প্রতিটি বুথে সশস্ত্র বাহিনী থাকছে। তার উপর ১৭৮টি সেক্টর মোবাইল পুলিশের দল। এবং ব্লক স্তরে বড় গোলমাল এড়াতে থাকছে আরটি এবং হাই রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড মিলিয়ে প্রায় ২৬টি গাড়িতে পুলিশকর্মীরা ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০টি সংবেদশনশীল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে রুটমার্চ শুরু করেছে।

ডায়মন্ড হারবারের বেশিরভাগ এলাকায় মনোনয়ন পর্বে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে শাসক দল। বিরোধীদের অভিযোগ এখন আদালতের বিচারাধীন। তাই সেইসব জায়গায় ভোট হচ্ছে না। তবে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, মগরাহাট পশ্চিমে ২১৭টি, মগরাহাট পূর্বে ২৫৯টি, মন্দিরবাজার, কুলপি, ঢোলাহাট, মথুরাপুর, রায়দিঘি মিলিয়ে মোট ৫২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে ভোট হবে। বুথের বাইরেও দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তায় সেক্টর মোবাইল ফোর্স এবং তারও উপরে রাখা হচ্ছে হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও স্কোয়াড। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি থানাতেই কুইক রেসপন্স টিমও রাখা হচ্ছে। সংবেদনশীল এলাকাগুলির উপরে নজর রয়েছে পুলিশের।

ক্যানিং মহকুমায় পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে রুটমার্চ চলছে। বুথ-পিছু একজন রাইফেলধারী ও একজন লাঠিধারী পুলিশ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দাগি অপরাধীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মহকুমা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্যানিংয়ের উত্তর অঙ্গদবেড়িয়া এলাকা থেকে ৫টি বোমা উদ্ধার হয়েছে।’’

West Bengal Panchayat Elections 2018 Security Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy