Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
rainfall

Bengal Weather Today: শঙ্কা বাড়াচ্ছে বৃষ্টি, মৌসুনি, ঘোড়ামারা থেকে সরানো হল কয়েক হাজার মানুষকে

দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বিডিও অফিসে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, পানীয় জল, ত্রিপল এবং ওষুধ মজুত করে রাখা হয়েছে।

ফুঁসছে সমুদ্র।

ফুঁসছে সমুদ্র। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাগরদ্বীপ শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:০৭
Share: Save:

নিম্নচাপের জেরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। মঙ্গল এবং বুধবার দুর্যোগের বাড়বা়ডন্ত হতে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়। সে কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় আগে থেকেই দ্বীপাঞ্চল এবং নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। মঙ্গলবার তা আরও গতি পেয়েছে।

ইতিমধ্যেই ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে আনতে পেরেছে প্রশাসন। তাঁদেরকে স্থানীয় স্কুল, উঁচু বাড়ি এবং সাইক্লোন সেন্টারে রাখা হয়েছে। সোমবার রাতের মধ্যে সাগর ব্লক প্রশাসন এবং পুলিশের তরফে ভাঙন কবলিত ঘোড়ামারা দ্বীপের বেশ কিছু বাসিন্দাকে সরিয়ে আনা হয়। মূলত চুনপুরি, হাটখোলা এবং খাসিমারা এলাকার বাঁধের ধার থেকে সব মিলিয়ে প্রায় ১,১০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। আপতত তাঁরা বামনখালি সাইক্লোন কেন্দ্রে রয়েছেন। এ ছাড়া মৌসুনি, ঘোড়ামারা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমার কিছু অংশের বাসিন্দাদেরও সরানো হচ্ছে। সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘শুধু দ্বীপ এলাকাই নয়, সাগরের নদী এবং সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হবে।’’

গত কয়েক দিন আগে টানা বৃষ্টিতে সুন্দরবন এবং উপকূল এলাকার মাটির বাঁধগুলি নরম হয়ে গিয়েছে। ফের ভারী বৃষ্টি হলে সেই বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে বাঁধের ধারের মাটির বাড়িগুলিও ভেঙে পড়তে পারে। বিপদ আঁচ করে বিপর্যয় মোকাবিলার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই নামখানার ফ্রেজারগঞ্জ এবং ডায়মন্ড হারবারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র একটি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘোড়ামারা, সাগর, মৌসুনি দ্বীপ এবং গোসাবায় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ)-র একটি করে দল প্রস্তুত রয়েছে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগোলে কুলতলি এবং কাকদ্বীপেও বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠানো হবে।

দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বিডিও অফিসে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, পানীয় জল, ত্রিপল এবং ওষুধ মজুত করে রাখা হয়েছে। আলিপুরে জেলা প্রশাসনের দফতরের পাশাপাশি প্রতিটি মহকুমা এবং ব্লক প্রশাসনের দফতরেও একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সুন্দরবন এবং উপকূল এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলি থেকে পর্যটকদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rainfall sagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE