লেনিনগড়ে অশান্তির পরে ঘটনাস্থলে যেতে ‘বাধা’ বিরোধীদের

মহেশতলা-কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার নোয়াপাড়ার লেনিনগড়ে সংঘর্ষের ঘটনাকে সামনে রেখে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিরোধীরা। আজ, শুক্রবার নোয়াপাড়া থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,ঘটনার সূত্রপাত দু’দিন আগে, লেনিনগড়ের মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে। দু’পক্ষের অশান্তির পরে মাঠে বসে নেশা করারপ্রতিবাদে বুধবার কয়েক জনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে পাশের পাড়ার বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গারুলিয়া পুর এলাকারলেনিনগড়। রাত পর্যন্ত ইট-পাথর ছোড়াছুড়ি চলে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।বৃহস্পতিবারও এলাকায় পুলিশ পিকেট ছিল। ব্যারাকপুরের নগরপাল মুরলীধর শর্মা বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে।অশান্তি যারা ছড়িয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুতগ্রেফতার করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণেআছে। নতুন করে যাতে আর অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

এলাকায় নতুন করে আর অশান্তি না ছড়ালেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার,প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহেরা এ দিন আলাদা ভাবে ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলেপুলিশ তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সেখানে যাওয়ার পথে ইছাপুরেঅর্জুন এবং দলীয় নেতা মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ আটকে দেয় এবং ধস্তাধস্তি হয় বলে খবর। এর পরেই অর্জুনের অভিযোগ, ‘‘ভোট ব্যাঙ্কের জন্য মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন ব্যবস্থা সনাতনীদের উপরে হামলা চালাতে উৎসাহ দিচ্ছে।” এইসূত্রে স্থানীয় নোয়াপাড়া থানায় আজ, শুক্রবার বিজেপি বিক্ষোভ দেখাবে বলেও জানিয়েছেন অর্জুন।

এ দিকে, কংগ্রেস নেতা শুভঙ্করের নেতৃত্বে তাপস মজুমদার-সহ দলের একটি প্রতিনিধিদলএলাকায় যেতে গেলে তাদেরও পথেই আটকে দেয় পুলিশ। পরে কংগ্রেস নেতৃত্ব নোয়াপাড়া থানায় গিয়ে সেখানকার পুলিশকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাবলেন বলে জানা গিয়েছে। এ দিন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শুভঙ্করের বক্তব্য, “সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রশাসন মাইকে প্রচার করুক। আমাদের দাবি, সর্বদল বৈঠক ডাকতে হবে। সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্ত এবং দায়ীদেরগ্রেফতার করার পাশাপাশি নিরপরাধদের যাতে কোনও মতেই পুলিশি হয়রানির মুখে পড়তে না হয়, তা-ও দেখতে হবে।”