দফতরে ঝুলছে তালা। —নিজস্ব চিত্র।
ভাড়া না পেয়ে দলীয় দফতরে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার বিরুদ্ধে। খোদ বিধায়কের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ। তবে বিধায়ক সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বনগাঁয় পদ্মশিবিরের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এমন ‘আজব’ ঘটনা বলে মনে করছে তৃণমূল।
বিজেপি-র উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দলীয় দফতর বনগাঁ শহরের গাঁধী পল্লিতে। ওই দফতরটি বনগাঁ উত্তরেরই বিজেপি বিধায়কের বাড়ি ভাড়া নিয়েই করা হয়েছে। দলের জেলা দফতরের সম্পাদক সুবীর সেনের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যা থেকে ওই ঘরে তালা ঝুলছে। তাঁর দাবি, দফতরে তালা ঝুলতে দেখে বিজেপি বিধায়কের কাছে চাবি চাইতে যান তিনি। সেই সময় বিধায়ক চাবি দিতে অস্বীকার করেন বলেও অভিযোগ সুবীরের। তিনি বলছেন, ‘‘আমি আজ এসে দেখি দফতরে তালা ঝোলান। চাবি পাইনি। চাবির খোঁজ করতে গেলে বলা হয়, ভাড়া বাকি। তালা দিয়েছেন বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার ভাই সুজিত কীর্তনিয়া। ওঁরা দু’জনে তালা দিয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। আমরাই তাঁকে নির্বাচিত করে বিধায়ক করেছি।’’
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি জানি না কে বা কারা তালা দিয়েছে। বাড়িটা আমার। ভাড়া দিয়েছি। ভাড়া পাচ্ছিও। কে কার ইন্ধনে এ সব কথা বলছেন জানি না। আমার সঙ্গে কারও কোনও কথা হয়নি। আমি তালাও দিইনি। এ সবই ভিত্তিহীন অভিযোগ।’’ এ নিয়ে বনগাঁর তৃণমূল নেতা দিলীপ দাসের মন্তব্য, ‘‘এটা বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল। এই গোষ্ঠী কোন্দল থেকে বিজেপি বেরিয়ে আসতে পারবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy