ধৃত: সরিফুল মোল্লা।
শেষবারের মতো দুই বন্ধুকে দেখা গিয়েছিল একই সাইকেল করে যেতে। এরপরে রাত ১২টা নাগাদ পুকুর পাড় থেকে মাথা থ্যাঁতলানো এক বন্ধুর দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার বাঁশঝাড়ি গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, আতিয়ার গাজিকে (৪৫) খুনের অভিযোগে ওই রাতেই তাঁর বন্ধু সরিফুল মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় সরিফুল খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। বুধবার সরিফুলকে বসিরহাটের এসিজেএমের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বিয়ে করার পরে আতিয়ার বাঁশঝাড়ি গ্রামে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে ইটভাটায় কাজ করত ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সরিফুল। আতিয়ার এবং সরিফুলের মধ্যে ভাল সম্পর্কই ছিল। ঘটনার সন্ধ্যায় সাইকেল করে বাঁশঝাড়ি গ্রামের একটি পুকুর ধারে গিয়ে দু’জনে বসেন।
পুলিশের দাবি, সেখানে দুই বন্ধু মদ খান। নেশা চড়ে গেলে কোনও বিষয় নিয়ে দু’জনের বচসা বাধে। শুরু হয় হাতাহাতি। অভিযোগ, সে সময়ে সামনে থাকা একটি ইট দিয়ে আতিয়ারের মাথায় আঘাত করে সরিফুল। এরপরে ভয়ে সেখান থেকে পালায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা আতিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, নিহতের পাশে রক্ত মাখা একটি ইট এবং সাইকেল ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি। থেঁতলে যাওয়া মুখ দেখে কেউ তাঁকে চিনতেও পারেননি। মঙ্গলবার সকালে সাইকেল দেখে বাঁশঝাড়ি বাজারের লোকজন বুঝতে পারেন, সেটি আতিয়ারেরই।
খবর পেয়ে স্ত্রী এসে স্বামীর দেহ শনাক্ত করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আতিয়ার ও সরিফুলকে ঘটনার সন্ধ্যায় এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। পুলিশ সরিফুলের বাড়িতে হানা দেয়। ততক্ষণে বাড়ি ছেড়ে পালানোর জন্য ব্যাগ গুছিয়ে ফেলেছিল সে।
পুলিশের দাবি, সরিফুল জেরায় জানিয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় তার মাকে নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন আতিয়ার। তাতেই মাথা গরম হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy