Advertisement
১৯ মে ২০২৪

অগ্নিদগ্ধ বধূর মৃত্যু, অভিযুক্ত তিন

দিন পাঁচেক আগে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ঝড়খালির পার্বতীপুরের গৃহবধূ শীলা দাসকে (২১) ভর্তি করানো হয়েছিল কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাসন্তী শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

দিন পাঁচেক আগে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ঝড়খালির পার্বতীপুরের গৃহবধূ শীলা দাসকে (২১) ভর্তি করানো হয়েছিল কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হল। দাবিমতো পণ না-মেলায় তাঁকে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়, এই অভিযোগে আগেই শীলার স্বামী রাজীব, শ্বশুর রতন এবং শাশুড়ি মেনকাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শীলার মৃত্যুতে তিন জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু হল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ঝড়খালির মণ্ডলঘেরি গ্রামের বাসিন্দা শীলার সঙ্গে রাজীবের বিয়ে হয়। দম্পতির দেড় বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। শীলার বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে শীলার উপরে অত্যাচার হতো। আগেও তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছিল। গত রবিবার রাতে মেয়ে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরে শীলার বাবা সঞ্জিৎবাবু পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জানান, মেয়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শীলার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়। তারা এখন জেল-হাজতে রয়েছে।

মৃত্যুর আগে হাসপাতালে আত্মীয়দের শীলা জানিয়েছিলেন, গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর শ্বশুরবাড়ি থেকে বলা হয়েছিল, এ কথা পুলিশ বা কাউকে বললে ছেলেকেও মেরে ফেলা হবে। সেই ভয়ে ওই সময় তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন লম্ফ ধরাতে গিয়ে তাঁর গায়ে আগুন লেগে যায়।

সঞ্জিৎবাবু বলেন, ‘‘মেয়ে রাজীবকে ভালবেসে বিয়ে করেছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ওরা ৫০ হাজার টাকা দাবি করতে থাকে। আমি ২৪ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। তার পরেও ওরা মেয়েকে পুড়িয়ে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Housewife Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE