পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে মধ্যমগ্রামের এক বস্ত্রব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর ব্যবসার এক অংশীদার-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে অশেকনগরের বালিশা-দত্তপুকুর সড়কের পাশে একটি নয়নজুলির থেকে হাফিজুর রহমান (২৮) নামে গলায় কাপড়ের ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীর দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর স্ত্রী রিনির দায়ের করা অভিয়োগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শেখ পলাশ-সহ তিনজনই পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলেও জানিয়েছে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাফিজুরের বাড়ি মধ্যমগ্রামের থানার উদয়রাজপুর এলাকার কাজী নজরুল ইসলাম সরণীতে। তিনি একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। শেখ পলাশের সঙ্গে যৌথ ভাবে হাফিজুর ব্যবসা করতেন। পুলিশকে রিনি জানিয়েছেন, হাফিজুর পলাশের কাছে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা পেতেন। কাপড়ের ব্যবসায় লাভ করতে না পারায় ওই ব্যবসা বন্ধও করে দিয়েছিলেন তিনি। অন্য ব্যবসা শুরু করার জন্য তিনি শেখ পলাশের কাছে টাকা চান।
প্রথম দিকে টাকা দিতে রাজী ছিল না শেখ পলাশ। কিন্তু পরে সে দশ হাজার টাকা দিতে রািজ হয়। অভিযোগ, ওই টাকা দেব বলেই বাড়ির থেকে হাফিজুরকে ডেকে নিয়ে যায় শেখ পলাশ। রিনা বলেন, ‘‘সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ স্বামীর সঙ্গে ফোনে শেষ কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, দ্রুত বাড়ি ফিরে আসবেন। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। ফোনের সুইচও বন্ধ ছিল। সকালে পুলিশের কাছ থেকে ওর খুনের খবর পেয়ে আশোকনগর থানায় যাই।’’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই ব্যবসায়ীকে অন্য কোথাও খুন করে বালিশাতে দেহ এনে ফেলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy