Advertisement
০৫ মে ২০২৪
পেট্রাপোলে ২৪ ঘণ্টা চালু হবে বাণিজ্য

শ্রীবৃদ্ধির আশায় ব্যবসায়ী

পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চত্রবর্তী বলেন, ‘‘২৪ ঘণ্টা বাণিজ্যের কাজ শুরু হওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। এরপরে বাণিজ্যে গতি আসবে। কেন্দ্রের আয়ও বাড়বে। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’’

রাস্তা-দখল: এই ছবিই বদলাবে, আশা বনগাঁর। ফাইল চিত্র

রাস্তা-দখল: এই ছবিই বদলাবে, আশা বনগাঁর। ফাইল চিত্র

সীমান্ত মৈত্র
পেট্রাপোল শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭ ০২:১০
Share: Save:

পেট্রাপোল বন্দরের পরিকাঠামো বাড়াতে কিছু দিন আগে প্রায় দু’শো কোটি টাকা খরচ করে সুসংহত চেকপোস্ট তৈরি করা হয়েছে। যদিও তারপরেও বাণিজ্যে গতি আসেনি বলে ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতা। ২৪ ঘণ্টা ব্যবসা চালু হলে সেই সমস্যার হাল হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মহল।

পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চত্রবর্তী বলেন, ‘‘২৪ ঘণ্টা বাণিজ্যের কাজ শুরু হওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। এরপরে বাণিজ্যে গতি আসবে। কেন্দ্রের আয়ও বাড়বে। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’’

বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন রোজ গড়ে এ দেশ থেকে ৩০০-৩৫০ পণ্য-বোঝাই ট্রাক যায় বাংলাদেশে। পণ্য আমদানি হয় ৫০-৬০টি ট্রাকে। বাণিজ্যে গতি কম থাকায় ভিন রাজ্য থেকে আসা পণ্য-ভর্তি ট্রাক বনগাঁ- চাকদহ সড়ক জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ, বন্দরে থাকা ট্রাক টার্মিনাসে পর্যাপ্ত ট্রাক রাখার ব্যবস্থা নেই। রাস্তা জুড়ে ট্রাকের সারি দাঁড়িয়ে থাকায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হলে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার আর দরকার পড়বে না।

পেট্রাপোল এক্সপোর্টাস অ্যান্ড ইমপোর্টাস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘চিন ইদানীং বাংলাদেশের বাজারে রফতানি বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্যের কাজ শুরু খুবই ভাল পদক্ষেপ। আমরা সহযোগিতা করব।’’ গোটা ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে কার্যকর করার জন্য বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত দু’দেশের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন পরিতোষবাবু।

পণ্য রফতানিকারীদের খুশি হওয়ার আরও একটি কারণ হল, সরকারি ট্রাক টার্মিনাসে ১০ চাকার ট্রাক একদিন রাখতে হলে ১২০০ টাকা দিতে হয়। দিনের দিন পণ্য রফতানি না হলে ট্রাক রাখার খরচও বাড়ে। দিনে-রাতে সব সময় ট্রাক চলাচল শুরু হলে সেই বাড়তি খরচ আর হবে না বলে তাঁদের আশা।

তবে সমস্যা কিছু থেকেই যাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা। কারণ, বেনাপোল বন্দর এলাকায় এখনও বেশি ট্রাক রাখার মতো পরিকাঠামো নেই। এ দেশ থেকে পণ্য-ভর্তি ট্রাক নিয়ে বেনাপোলে গেলেও সেই ট্রাকের মালপত্র খালি হতে দু’তিন দিন সময় লেগে যায়। কার্তিকবাবু বলেন, ‘‘বেনাপোল বন্দর থেকে রোজ গড়ে ২০০টি ট্রাক পণ্য নিয়ে ঢাকা-সহ ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় যায়। যদি রোজ ৫০০টি ট্রাক পণ্য নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে, তা হলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। বিষয়টি পড়শি দেশের শুল্ক দফতরকে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE