কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
বারুইপুরে স্টেশন সংলগ্ন জলাশয়, কলপুকুর সাফ করার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট। বারুইপুর স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশের ওই জলাশয়টিতে দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। যার জেরে জলাশয়ের একাংশ বুজে গিয়েছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তারই প্রেক্ষিতে গত সোমবার রেলকে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, জলাশয়টিকে দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। তিন সপ্তাহের মধ্যে পুরসভা-সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে নিয়ে জলাশয় পরিদর্শন করে রিপোর্ট পেশ করতেও বলা হয়েছে। তার দু’মাসের মধ্যে জলাশয়কে পূর্বাবস্থায় ফেরাতে হবে।
বিশাল ওই জলাশয়টির বেহাল দশা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব স্থানীয় মানুষজন। কলপুকুর বাঁচাতে স্থানীয়দের তৈরি সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে লড়াইও করছে। রেল-সহ বিভিন্ন দফতরে সেটির সংস্কারের দাবি জানিয়েছে তারা। সম্প্রতি ওই সংগঠনকে পুকুর সংস্কারের দায়িত্ব নিতে বলে রেল। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কোনও দফতর পাশে দাঁড়ায়নি। ফলে সংগঠনের পক্ষে পুকুর সংস্কারের খরচ সামলানো সম্ভব হয়নি। উচ্চ আদালতের রায়ের পরে সংগঠনের সদস্য কৌশিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জলাশয়টি দিনে দিনে শেষ হয়ে যাচ্ছিল। আদালতের রায়ের পরে আশা করি, এটি পুরনো অবস্থায় ফিরবে।’’
অভিযোগ, রেল ও পুরসভা, দু’তরফই ওই জলাশয়ে আবর্জনা ফেলত। স্থানীয় প্রশাসনের মদতে জলাশয়ের একাংশ বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে। বারুইপুরের পুরপ্রধান শক্তি রায়চৌধুরীর অবশ্য দাবি, ‘‘পুরসভা ওখানে আবর্জনা ফেলেনি। ওটা রেলের জায়গা, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও রেলের। আদালত রেলকেই দায়িত্ব দিয়েছে।’’
এ ব্যাপারে যাঁরা জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন, তাঁদের অন্যতম, আইনজীবী গৌতম সর্দার বলেন, ‘‘সম্প্রতি এই এলাকায় আরও একটি বুজে যাওয়া জলাশয় সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। আশা করি, কলপুকুরের ক্ষেত্রে তা হবে না।’’ এ বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ এলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy