একপাতে: রোগীর খাবারে মুখ দিতে চাইছে বিড়াল। হাবরায়। নিজস্ব চিত্র
হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের বাইরে শয্যায় ভর্তি এক বৃদ্ধা। মঙ্গলবার সকালে সেখানে বসে থালায় খাচ্ছিলেন। পাশে দু’টি বিড়াল মুখ বাড়িয়ে দিচ্ছে থালার দিকে। হাত দিয়ে খেদিয়ে দিচ্ছেন মহিলা। এ ভাবেই চলছে তাঁর খাওয়া-দাওয়া।
দৃশ্যটি চোখে পড়ে কারও কারও। শুরু হয় শোরগোল। হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অন্য রোগীর আত্মীয়েরা জানান, ওয়ার্ডের মধ্যে বিড়াল সব সময়েই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কয়েক বছর আগে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি এক সদ্যোজাতকে বিড়াল আঁচড়ে দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ওই হাসপাতালের সুপার ওয়ার্ড থেকে বিড়াল ধরতে পারলে নগদ টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেন।
হাবরা হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অগস্ট মাসে স্থানীয় নগরউখরা মোড় এলাকায় যশোর রোডের পাশে এক বৃদ্ধা অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন। পুরসভার সাফাই কর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। তারপর থেকে বৃদ্ধা আছেন সেখানেই। প্রথমে তাঁকে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শরীরের নানা অংশে পচন ধরায় দুগর্ন্ধ বেরোতে থাকে। অন্য রোগীরা বৃদ্ধাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন। সুপারের কাছে ক্ষোভ জানান। এরপরে তাঁকে ওয়ার্ডের বাইরে শয্যায় রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল।
হাসপাতালের সুপার শঙ্কললাল ঘোষ বলেন, ‘‘বিড়াল কী ভাবে ওখানে গেল, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। ভবিষ্যতে যাতে বিড়াল ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকতে না পারে, সে জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাব রয়েছে। ফলে নজরদারি রাখতে অসুবিধা হয়।
নীলিমেশবাবু বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধার কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বিড়াল কী ভাবে এল, তা নিয়ে সুপারের সঙ্গে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy