Advertisement
১৪ অক্টোবর ২০২৪
Hingalganj

ফের বাঁধে ধস, আতঙ্ক কাটছে না এলাকাবাসীর

এর মধ্যেই রবিবার সকালে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের রূপমারি পঞ্চায়েতের বেড়েরচক গ্রামে ডাসা নদীর বাঁধের প্রায় আড়াই’শো ফুট অংশ ধসে যায়।

ধস: এ ভাবেই ভেঙেছে নদীর পাড়। হিঙ্গলগঞ্জ। নিজস্ব চিত্র

ধস: এ ভাবেই ভেঙেছে নদীর পাড়। হিঙ্গলগঞ্জ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ০২:২৫
Share: Save:

করোনা-আতঙ্কের মধ্যেই নদী বাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না দুই জেলার সুন্দরবন লাগোয়া এলাকার মানুষের। গত বুধবার পূর্ণিমার কোটালে বহু জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকে পড়ে। জলের ধাক্কায় বাঁধে ফাটল দেখা দেয় অনেক জায়গায়। ভেঙে যাওয়া জায়গাগুলি সেচ দফতরের লোকজন স্থানীয় মানুষের সাহায্য নিয়ে দ্রুত মেরামত করেছেন। কিন্তু ফাটল ধরা, নড়বড়ে জায়গাগুলি যে কোনও দিন ভেঙে আবার বিপদ হতে পারে বলে তারপর থেকেই আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এর মধ্যেই রবিবার সকালে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের রূপমারি পঞ্চায়েতের বেড়েরচক গ্রামে ডাসা নদীর বাঁধের প্রায় আড়াই’শো ফুট অংশ ধসে যায়। তবে সেই সময় ভাটা থাকায় গ্রামে জল ঢোকেনি। রূপমারি পঞ্চায়েত ও সেচ দফতরের সহায়তায় প্রায় ২০০ শ্রমিক দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যে ভাবে বাঁধ ধসেছে, জোয়ার থাকলে হালদা, কুমিরমারি-সহ একাধিক গ্রাম ভেসে যেত।

হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতের মাধবকাটির সর্দারপাড়া ঘাটের কাছে রায়মঙ্গল নদীবাঁধের অবস্থাও ভাল নয়। সন্দেশখালি ১ ব্লকের বাউনিয়া এলাকায় বিদ্যাধরী নদীবাঁধ, সন্দেশখালি ২ ব্লকের শিতলিয়াতে রায়মঙ্গল ও সাহেবখালি নদীবাঁধ এবং হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বাঁশতলি ও পুকুরিয়া এলাকার সাহেবখালি নদীবাঁধ নিয়েও চিন্তিত সেচ দফতর। বসিরহাট ডিভিশনের সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জানান, সব জায়গাতেই আমরা নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

কোটালে কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন নদী বাঁধেও ধস নামে। সেচ দফতর মেরামত করে। এরপর শনিবার নামখানার মৌসুনি দ্বীপের বাগডাঙা গ্রামের কাছে চিনাই নদীবাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার অংশ ধসে যায়।

আতঙ্কে রাত জাগেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত থেকে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হলেও বাসিন্দাদের অভিযোগ, শ্রমিক কম থাকায় দ্রুত কাজ হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, লকডাউনের জেরে শ্রমিকের জোগান কম রয়েছে। সেচ দফতর ও প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক শৌভিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ধস নামা বাঁধগুলি সংস্কারের জন্য সেচ দফতরকে বলা হয়েছে। ক্যানিং, গোসাবার একাধিক জায়গায়ও নদীবাঁধের পরিস্থিতি বিপজ্জনক। যা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Hingalganj Dam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE