দুর্ঘটনার পরে তখনও ওঠেনি বিক্ষোভ। মঙ্গলবার নির্মাল্য প্রামাণিকের তোলা ছবি।
বিয়ের ঠিক হয়ে গিয়েছিল কলেজ পড়ুয়া তরুণীর। তোড়জোড়ও চলছিল। সব কিছু থমকে গেল মঙ্গলবার সকালে।
স্কুটি চালিয়ে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় মারা গেলেন প্রিয়াঙ্কা দাস (২১)। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাগদার বৌকোলা এলাকার হেলেঞ্চা-দত্তফুলিয়া সড়কে।
প্রিয়াঙ্কা থাকতেন কাশীপুর এলাকায়। দুর্ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা ঘটনার প্রতিবাদে দেহ সড়কে ফেলে প্রায় তিন ঘণ্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। অনিলবাবু বলেন, ‘‘বাসটি আটক করা হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা।
গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে।’’ তবে অনিলবাবু মনে করেন, ওই ছাত্রীর মাথায় হেলমেট থাকলে হয় তো প্রাণ যেত না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজে ভূগোলে অনার্স নিয়ে পড়তেন প্রিয়াঙ্কা। এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে স্কুটি নিয়ে পড়তে যাচ্ছিলেন সিন্দ্রাণীতে। পিছন থেকে একটি বাস তাঁকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন কয়েক হাত দূরে। তাতেই জখম হন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাসটি দ্রুত গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটিতে ধাক্কা মারে। পুলিশ জানায়, প্রিয়াঙ্কার মাথায় আঘাত লাগে। নাক দিয়ে রক্ত বেরোয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। শুরু হয় পথ অবরোধ। স্থানীয় মানুষজনের দাবি, ওই এলাকায় একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। সে কারণে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। দিতে হবে গার্ডরেল। সড়কের পাশের ইমারতি দ্রব্য সরাতে হবে এবং পুলিশকে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। বাগদা থানার ওসি আশিস দুলুই, সিআই পার্থ সান্যাল, ও অনিলবাবু ঘটনাস্থলে গেলে প্রথমে দেহ তুলতে বাধা দেয় জনতা। ঘটনাস্থলে যান বাগদার বিধায়ক দুলাল বর। তিনি ইমারতি দ্রব্য সরাতে বলেন পুলিশকে।
তিন বোনের মধ্যে প্রিয়াঙ্কা বড়। বাবা সুভাষ দাস রেশন ডিলার। তাঁর কথায়, ‘‘সামনেই মেয়ের বিয়ের ঠিক হয়েছিল। সব আয়োজন চলছিল। হেলমেট পড়লে হয় তো এ ভাবে মরতে হতো না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy