E-Paper

নিকাশি বুজিয়ে একাধিক নির্মাণের অভিযোগ ভাঙড়ে

স্থানীয় সূত্রের খবর, বেঁওতা ২ পঞ্চায়েতের জিরেনগাছা, হাতিশালা, গাবতলা, ওয়ারি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশি জল জিরেনগাছা খাল হয়ে বাগজোলা খালে মেশে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫০
ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় এভাবেই সরকারি খালের উপর গড়ে তোলা হচ্ছে বেআইনি নির্মাণ।

ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় এভাবেই সরকারি খালের উপর গড়ে তোলা হচ্ছে বেআইনি নির্মাণ।

নিকাশি খালে মাটি ফেলে গড়ে উঠছে একের পর এক ক্রংক্রিটের নির্মাণ। অভিযোগ, স্থানীয় নেতাদের মদতে প্রকাশ্যেই এ কাজ চলছে। সব জেনেও উদাসীন প্রশাসন। এমনই পরিস্থিতি ভাঙড় ২ ব্লকের বেঁওতা ২ পঞ্চায়েতের হাতিশালা এলাকায়। স্থানীয় মানুষ জানান, রাতারাতি খালের মধ্যে জেসিপি দিয়ে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। আর সেখানেই কংক্রিটের পিলার গেঁথে তৈরি হচ্ছে বিরাট ইমারত। সম্প্রতি বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ভাবেই সরকারি জমি জবরদখল করা যাবে না বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরেও ভাঙড়ে রমরমিয়ে চলছে সরকারি জায়গা দখল করে বেআইনি নির্মাণ। ভাঙড় ২ বিএলআরও তমাল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি, সেই মতো ব্যবস্থা নেব।’’

স্থানীয় সূত্রের খবর, বেঁওতা ২ পঞ্চায়েতের জিরেনগাছা, হাতিশালা, গাবতলা, ওয়ারি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশি জল জিরেনগাছা খাল হয়ে বাগজোলা খালে মেশে। অভিযোগ, শাসকদলের একশ্রেণির নেতার মদতে জিরেনগাছা খাল রাতারাতি ভরাট করে একের পর এক দোকান, নার্সিংহোম গড়ে উঠেছে। আরও অভিযোগ, সিরাজুল ইসলাম সাঁফুই নামে এক ব্যক্তি হাতিশালার সিক্স লেনের কাছে খাল বুজিয়ে বিরাট বেআইনি নির্মাণ গড়ে তুলছেন। সিরাজুল বলেন, ‘‘ওখানে আমার সাত কাঠা জমি আছে। আমি সেই জমি বাস্তুতে রূপান্তর করে (কনভার্শন) আইন মেনে ভবন তৈরি করেছি।’’ কিন্তু আইন অনুযায়ী, এ ভাবে জমির চরিত্র বদল করা যায় না। ফলে খালের জলা জমি কী ভাবে বাস্তুতে রূপান্তর করা হল এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এটা সরকার দেখবে, আমার দেখার বিষয় নয়।’’ আইএসএফের জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হক বলেন, ‘‘ওই এলাকায় শাসকদল ও প্রশাসনের একাংশের মদতে সরকারি খাল বুঝিয়ে দিয়ে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছে। এক দিকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সরকারি জায়গা জবরদখল করা যাবে না, সেখানে প্রকাশ্যে এই ঘটনা কী ভাবে ঘটছে?’’ ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লার কথায়, ‘‘সরকারি জলাভূমি, খাল ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যারা এই কাজ করছে, আমরা তাদের সমর্থন করি না। প্রশাসনকে বলব, অবিলম্বে পদক্ষেপ করার জন্য।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bhangar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy