Advertisement
E-Paper

হাতকড়া পরিয়ে হেনস্থার অভিযোগে সাসপেন্ড পুলিশ

এক আইনজীবীকে পুলিশ হেনস্তা করেছে এই অভিযোগে মঙ্গলবার বনগাঁ আদালতে কর্মবিরতি পালন করলেন আইনজীবীরা। এ দিন সকালে আদালত চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল এবং সভা করেন ল’ক্লার্ক, আইনজীবীরা। এই ঘটনায় এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৬ ০১:৪৯

এক আইনজীবীকে পুলিশ হেনস্তা করেছে এই অভিযোগে মঙ্গলবার বনগাঁ আদালতে কর্মবিরতি পালন করলেন আইনজীবীরা। এ দিন সকালে আদালত চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল এবং সভা করেন ল’ক্লার্ক, আইনজীবীরা। এই ঘটনায় এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছে পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’’

পুলিশ এবং আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ শহরের নয়া কামারগ্রাম এলাকার বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী কেশব মণ্ডলের সঙ্গে ওই এলাকারই কয়েক জনের জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। গত শুক্রবার দু’পক্ষের মারামারি বাধে। কেশববাবু-সহ দু’জন আহত হন। দু’পক্ষই বনগাঁ থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কেশববাবুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তখন তিনি অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করার পরে তাঁর হাত এবং পায়ে হাতকড়া পরিয়ে কয়েক ঘণ্টা রেখে দেওয়া হয়।

কেশববাবুর অভিযোগ, যে পুলিশকর্মী তাঁর পাহারার দায়িত্বে ছিলেন তিনি হাতে হাতকড়া লাগিয়ে বেরিয়ে যান। হাত-পা বাঁধা থাকায় তিনি বাথরুমেও যেতে পারেননি। সোমবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে ওই আইনজীবীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।

বনগাঁর ল’ইয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দাসের দাবি, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, পুলিশ কাউকেই হাতকড়া পরাতে পারে না। এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা।’’ ওই সংগঠনের সভাপতি অসীম দের প্রশ্ন, ‘‘কাউকে গ্রেফতার না করে এ ভাবে রাখা হল কোন যুক্তিতে? দোষী পুলিশ কর্মীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’’

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, হাতকড়া পরানোর অভিযোগে কনস্টেবল অভিজিৎ মহাকালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কেশববাবুকে উদ্ধার করার সময়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। তাই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কিন্তু তখন ওই হাসপাতালেই কেশববাবুর সঙ্গে যাদের বিরোধ তাদেরই একজন ভর্তি ছিলেন। তাই কেশববাবুর নিরাপত্তার জন্যই একজন কনস্টেবল এবং কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাখা হয়েছিল।

Police constable Lawyer Handcuff
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy