প্রতীকী ছবি
ভিন জেলা থেকে ফেরা শ্রমিকদের বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে অনেকেই এলাকায় ঘুরছেন বলে অভিযোগ। এর জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অন্য বাসিন্দারা।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে মথুরাপুর-২ ব্লকের কুমড়োপাড়া, নগেন্দ্রপুর, নন্দকুমারপুর-সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রায় ১৫৩ জন শ্রমিক উত্তরবঙ্গে আলুর তোলা ও হিমঘরে মজুত করার কাজে গিয়েছিলেন। লকডাউনের জেরে সকলেই আটকে পড়েন। প্রশাসনের কাছে বাড়ি ফেরানোর আবেদন জানান তাঁরা। সেই মতো সরকারি গাড়িতে করে তাঁদের ফেরার ব্যবস্থা হয়। সোমবার রাতে ওই দলটি রায়দিঘি থানায় পৌঁছয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে ওই শ্রমিকদের যে যার বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়।
কিন্তু বাড়ি ফিরে অনেকেই আর সেই নির্দেশ মানছেন না বলে অভিযোগ। কুমড়োপাড়া গ্রামের এক বাসিন্দার অভিযোগ, রাতে ভিন জেলা থেকে ১২ জন এলাকায় ফিরেছেন। তাঁদের একটি নির্দিষ্ট ঘরে থাকার কথা। কিন্তু তা অনেকেই মানছেন না। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খোলামেলা মেলামেশা করছেন। ওই পরিবারের সদস্যেরা পাড়ার নলকূপে জল আনতে আসছেন। পুকুর ঘাটে এক সঙ্গে সকলের সঙ্গে মেলামেশা করছেন।
এলাকায় নিভৃতবাস কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সেখানে না রেখে কেন ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের এ ভাবে বাড়ি পাঠানো হল, সেই প্রশ্ন তুলছেন প্রতিবেশীরা।
রায়দিঘির মথুরাপুর-২ বিডিও তিজওয়ান আহমেদ বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা মেনে ওঁদের নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। ভিন জেলা থেকে ফেরা প্রত্যেকের বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। তারপরেও যদি কোনও সমস্যা তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষ তাঁদের বোঝাবেন। কাজ না হলে প্রশাসন থেকে তাঁকে সচেতন করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy