গৌতম বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।
হাবরায় মহিলাকে মারধরের ঘটনায় শুক্রবার বারাসত জেলা আদালতে আত্মসর্মপণ করলেন অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম বিশ্বাস। তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করেছিল পুলিশ। এ দিন আদালত ১ হাজার টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুরও করেছে।
৩১ জুলাই একটি পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত। হাবরার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতমবাবুর উপস্থিতিতে কিছু লোক শাশ্বতী ঘোষ নামে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এক যুবতীকে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয় শাশ্বতীদেবীর। তাঁর অভিযোগ মতো এক তৃণমূল সমর্থককে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
এখনও মাথা তেমন নাড়াতে পারছেন না শাশ্বতীদেবী। এ দিন হাবরার হিজলপকুরের বাড়িতে বসে বললেন, ‘‘আমাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে একজন। কাউন্সিলর আত্মসর্মপণও করলেন। এতে আমি খুশি।’’ নিজেকে তৃণমূলেরই একজন বলে দাবি করে শাশ্বতী বলেন, ‘‘দল যে ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। ওঁরা যদি আমার কাছে এসে ক্ষমা চান, তা হলে আমি মামলা প্রত্যাহারও করে নেব।’’
এ দিন আদালত থেকে বেরিয়ে গৌতমবাবু বলেন, ‘‘ঘটনার দিন আমি একাই মোটরবাইক নিয়ে তেল ভরতে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে কেউ ছিল না। আমি কাউকে আক্রমণ করিনি। উল্টে আমার উপরে আক্রমণ হয়েছে। যদিও ওই মহিলার সঙ্গে যা কিছু হয়েছে, সেটাও দুঃখজনক।’’
ঘটনার পরেই শাশ্বতীর বাড়ি গিয়ে দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস গিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী তথা হাবরার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘দোষ করলে শাস্তি পেতেই হবে। এ সব আমরা প্রশ্রয় দিই না। আইন আইনের পথেই চলবে।’’
কনস্টেবলের অপমৃত্যু। সিআইএসএফের এক কনস্টেবলের অপমৃত্যু হল। শুক্রবার হলদিয়া টাউনশিপের সিপিটি কোয়ার্টারের ঘটনা। মৃতের নাম রবীন মণ্ডল (৪০)। হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে রবীনবাবু কর্মরত ছিলেন। এ দিন সিলিং ফ্যান থেকে রবীনবাবুকে ঝুলতে দেখেন স্ত্রী। সিপিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কয়েকদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণে তিনি আত্মহত্যা
করে থাকতে পারেন বলে পুলিশের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy