Advertisement
০৬ মে ২০২৪

ওষুধের জোগান নেই বসিরহাটে

বসিরহাট মহকুমায় ১৭৮ জন ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটর আছেন। তাঁদের থেকে ওষুধ নিয়ে বিক্রি করেন ৫০০ ওষুধের দোকানি। ১২টি সিটিং কাউন্টার (যেখান থেকে সমস্ত ডিস্ট্রিবিউটরের ওষুধ পাওয়া যায়) আছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নির্মল বসু
বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ১৩:২৫
Share: Save:

ইন্টারনেট পরিষেবা চালু না হওয়ায় জিএসটি রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।

এর ফলে বসিরহাটে সবচেয়ে বেশি সঙ্কট দেখা দিয়েছে ওষুধের। এখন অনেক ওষুধই মিলছে না বসিরহাটে বলে জানা গিয়েছে। এতে সমস্যায় পড়েছেন রোগীর বাড়ির লোকজনেরা। তাঁদের কথায়, ‘‘বেশির ভাগ ওষুধই কলকাতা থেকে গিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে। এ ভাবে অসুবিধা হচ্ছে। তা ছাড়া এত টাকা খরচ করে গিয়ে কলকাতা থেকে ওষুধ আনা সম্ভব নয়।’’

বসিরহাট মহকুমায় ১৭৮ জন ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটর আছেন। তাঁদের থেকে ওষুধ নিয়ে বিক্রি করেন ৫০০ ওষুধের দোকানি। ১২টি সিটিং কাউন্টার (যেখান থেকে সমস্ত ডিস্ট্রিবিউটরের ওষুধ পাওয়া যায়) আছে। শহরের ওষুধ ব্যবসায়ী ফাল্গুনী রায়চৌধুরি বলেন, ‘‘ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে জিএসটি সফটওয়্যার আপগ্রেড হচ্ছে না। এ ভাবে জিএসটি সম্পর্কে কোনও তথ্য জানতে পারছি না।’’ ওযুধের দামের পরিবর্তনও বোঝা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। এমনকী পুরনো স্টকও বিক্রি করতে পারছেন না তাঁরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, এককথায় বলা যায় জিএসটি সম্পর্কে বসিরহাটের মানুষের এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণাই হয়নি।

ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিসিডিএ বসিরহাট শাখার সম্পাদক নেপাল রায় অধিকারি বলেন, ‘‘১ জুলাই থেকে জিএসটি লাঘু হয়েছে। এরপরেই শুরু হয় গণ্ডগোল। তখন থেকে আমাদের এখানে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে আমাদের সদস্যরা কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি। এই রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনও কোম্পানি ওষুধ দিতে চাইছে না।’’ অনেক জীবনদায়ী ওষুধও মিলছে না এখানে। সেক্ষেত্রে বড় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মানুষকে।

শুধু ওষুধ ব্যবসায়ীরা নন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অন্য ব্যবসায়ীরাও সঙ্কটে পড়েছেন। বসিরহাট পুরাতন বাজার হাটের ব্যবসায়ী বাসুদেব সাধু বলেন, ‘‘ইন্টারনেটের অভাবে এখনও পর্যন্ত আমরা কেউ জিএসটি নম্বর পাইনি। ফলে কোন জিনিসের কত দাম হয়েছে তা বুঝতে পারছি না।’’ টায়ার ব্যবসায়ী চন্দন দের কথায়, ‘‘টায়ার কেনার সময় কলকাতার ব্যবসায়ীরা অনলাইনে বিল দিচ্ছেন। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অনলাইনে কোনও বিল করা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে।’’

রাজু মণ্ডল ও নুরুল ইসলাম নামে বাদুড়িয়ার দুই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে বাজারে কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করা হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী ইচ্ছা করে মালপত্র আটকে রাখছেন। পরে সেগুলিই বেশি দামে বিক্রি করছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Medicine Crisis Basirhat বসিরহাট
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE