Advertisement
E-Paper

জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ! কাঁপছে পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর, জাল দিয়ে চলছে এলাকা ঘেরার কাজ

এলাকারই একটি পুকুরে জাল ফেলতে গিয়ে একটি কুমির দেখতে পান এক গ্রামবাসী। বন দফতর সেই কুমিরটিকে পুকুর থেকে তুলে নিয়ে যায়। সেই সন্ধ্যায় এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখেন গ্রামবাসীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ১০:১৮
representational image

— প্রতীকী ছবি।

সুন্দরবন আছে সুন্দরবনেই। কুমিরের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই এ বার বাঘের ভয়ে কাবু দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর এলাকা। বৃহস্পতিবারই পুকুরে জাল ফেলতে গিয়ে একটি অতিকায় কুমির দেখে পালিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের দাবি, সন্ধ্যায় সেই গোবর্ধনপুরেই বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। জলে কুমির আর ডাঙায় বাঘের যুগপৎ আতঙ্কে এখন ঘুম উড়েছে এলাকার।

পাথরপ্রতিমার বিধাননগর এলাকা থেকে বাঘ-কুমিরের আতঙ্ক এ বার ছড়িয়ে পড়ল গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ইন্দ্রপুর এলাকাতেও। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এলাকার একটি পুকুরে একটি কুমির দেখতে পান কয়েক জন গ্রামবাসী। কুমিরের চেহারা দেখে ঘুম উড়ে যায় তাঁদের। দ্রুত সে খবর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। ইন্দ্রপুরে আতঙ্কের সেই শুরু। বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়। বনকর্তারা এসে কুমিরটিকে পুকুর থেকে তুলে নিয়ে যান। কিন্তু এলাকাবাসীর স্বস্তির প্রহর দীর্ঘস্থায়ী হল না। এলাকাবাসীর দাবি, সন্ধ্যা নামার পরেই ইন্দ্রপুরেই একটি জায়গায় বড় বড় কয়েকটি ছাপ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। সাধারণ মানুষ সেই চিহ্ন চিনতে না পারলেও সুন্দরবনবাসী হাড়ে হাড়ে তা চেনেন। বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। খবরও যায় বন দফতরে। তড়িঘড়ি তিনটি লঞ্চে করে মানুষকে ভয় না পেতে আবেদন জানিয়ে মাইকিং শুরু হয়। বন দফতরের প্রচার সত্ত্বেও অবশ্য আতঙ্ক কমছে না ইন্দ্রপুরের মানুষের।

সপ্তাহখানেক আগে, বিধাননগরে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা গিয়েছিল। বন দফতরের শতাধিক কর্মী বিধাননগর এলাকাকে মুড়ে ফেলেন জাল দিয়ে। সেই দফায় আর দেখা দেয়নি দক্ষিণরায়। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই এ বার তার পায়ের ছাপ পার্শ্ববর্তী ইন্দ্রপুরে। যে বাঘটিকে বিধাননগরে দেখা গিয়েছিল, ইন্দ্রপুরেও কি সেই একই বাঘ? প্রশ্নের জবাব পাননি স্থানীয়রা। ফলে, আতঙ্কও কাটছে না এলাকার বাসিন্দাদের। বন দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকেই ইন্দ্রপুর এলাকাকে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ শুরু হবে। যাতে বাঘ হাজির হলেও মানুষের কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয়।

বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল বলেন, ‘‘গত ১ নভেম্বরই বাঘ বেরিয়েছিল। সেটা এখনও এলাকাতেই আছে। তাকে ধরার জন্য ফাঁদও পাতা হয়েছে। এডিএফও এখনও এলাকায় আছেন। বন দফতরের কর্মীরাও আছে বাঘ ধরার জন্য।’’

Tiger Crocodile Sunderbans WB Forest Department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy