অস্বাস্থ্যকর: দেগঙ্গার গ্রামের অবস্থা। —নিজস্ব চিত্র
জ্বর-ডেঙ্গির প্রকোপ ছড়িয়েছে দেগঙ্গা ব্লকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ আক্রান্ত। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের তরফে ডেঙ্গি প্রতিরোধে জোরদার পদক্ষেপ করা হয়নি। দেগঙ্গা ব্লকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ কেমন হচ্ছে তা দেখতে এ বার পদক্ষেপ করল জেলা পরিষদ। মঙ্গলবার দেগঙ্গা বিডিও অফিসে ওই বিষয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সহ সভাপতি কৃষ্ণগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, বিডিও, বিএমওএইচ, পঞ্চায়েত প্রধানেরা।
বৈঠক শেষে নারায়ণ বলেন, ‘‘ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ ভালই চলছে। তবে কাজে আরও গতি আনতে পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রধানদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন নিজেরা এলাকায় গিয়ে জ্বর-ডেঙ্গির খোঁজ খবর নেন।’’ জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল যে সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গি ছড়িয়েছে, সেখানে সরেজমিন গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার দেগঙ্গা ব্লকে ১৫৮ জন মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। যদিও বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। কয়েক জন মারাও গিয়েছেন। নারায়ণ বলেন, ‘‘দেগঙ্গা ব্লকে ২২৩টি সংসদ এলাকায় আমরা একই সঙ্গে সমান ভাবে ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ শুরু করছি, যাতে ডেঙ্গিতে আর কেউ আক্রান্ত না হন।’’ তবে মানুষের সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে তাঁর দাবি। দেগঙ্গার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় মশা মারার তেল, চুন, ব্লিচিং ছড়ানো হলেও সর্বত্র ওই কাজ সমান ভাবে হচ্ছে না। নিকাশি নালায় জল জমে রয়েছে। ডোবার জলে মশার লার্ভা ভেসে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি সচেতনতার অভাবও চোখে পড়ে। বাড়ির মধ্যে গর্ত, তাতে জল জমে আছে— এমন দেখা যাচ্ছে বহু এলাকায়। বাড়ির চারপাশে জঙ্গল। প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ হয়নি। মানুষকে সচেতন করতে সোমবারই দেগঙ্গা থানার তরফে এলাকায় পদযাত্রা করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy