উৎসবের মরসুমে ডেঙ্গি-সহ নানা জ্বরের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কিছু ব্লকে। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছেন নানা বয়সের মানুষ। ভিড় বাড়ছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে। নাগরিকদের অসচেতনতা ও অকালে বেশি বৃষ্টিকে দায়ী করছেন চিকিৎসকেরা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, নাগাড়ে বৃষ্টিতে জল জমে থাকায় ডেঙ্গির মশার জন্ম নেওয়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে চার দিকে। এখনও উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ১, আমডাঙা, দেগঙ্গা ব্লক-সহ বিভিন্ন ব্লকে জমিতে জমে আছে জল। পাশাপাশি, ঝোপ-জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাটি ও প্লাস্টিকের নানা ধরনের পাত্রে বৃষ্টির জল জমে আছে। শহর ও গ্রাম অঞ্চলে বাড়ির ছাদে থাকা ফুলের টব এবং অন্যান্য পাত্রে বৃষ্টির জল জমে আছে।চিকিৎসকদের দাবি, মূলত এই সব জায়গাতেই জন্ম নিচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, চলতি মরসুমে বারাসত ১, আমডাঙা ও দেগঙ্গা ব্লক মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে।
শুধু ডেঙ্গি নয়, নানা ধরনের ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে বেশ উল্লেখযোগ্য হারে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আক্রান্ত হচ্ছেন নানা বয়সিরা। তবে শিশু ও প্রবীণদের সংখ্যা বেশি। বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, “ডেঙ্গি-সহ সব ধরনের জ্বরের প্রকোপ রয়েছে। তবে এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।”
বারাসত ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হালিমা বিবি বলেন, “চলতি মরসুমে এই ব্লকে ২০ জনের কাছাকাছি আক্রান্তের খবর পেয়েছি। অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বেশ কয়েক জন নমুনা পরীক্ষা করতে দিয়েছেন। তাঁদের রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। অতিরিক্ত বৃষ্টি আর নাগরিকদের অসচেতনতার কারণে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে।”
বারাসত পুর এলাকার জনা কুড়ি নাগরিকও আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে। বনমালীপুরের একটি পুজো উদ্বোধন করতে গিয়ে এই তথ্য দিয়ে পুর সদস্য সৌমেন আচার্য বলেন, “বাড়ির ছাদে জল জমতে দেবেন না। বাইরে প্লাস্টিক-সহ কোনও কিছু ফেলবেন না। কিছু মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত,সকলে সচেতন না হলে সংখ্যাটা বাড়তে পারে।”দেগঙ্গার বিডিও ফাহিম আলম বলেন, “প্লাস্টিক-সহ জল জমতে পারে, এমন জিনিস যত্রতত্র নাফেলার নির্দেশ ইতিমধ্যে জারি করেছি আমরা।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)