Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
24 Parganas

Diamond Harbour: পড়তে গিয়ে নিখোঁজ শিশু, সাত লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন! পুলিশের জালে ২ দুষ্কৃতী

২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশুটিকে খুঁজে বের করে ডায়মন্ড হারবারের উস্তি থানার পুলিশ। অনুমান, পরিচিত কোনও ব্যক্তি কিংবা আত্মীয় এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

বাড়ির খুদে সদস্যকে ফিরে পেয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পরিবার।

বাড়ির খুদে সদস্যকে ফিরে পেয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পরিবার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মগরাহাট শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২২ ১৮:৩৬
Share: Save:

এক শিশুকে অপহরণ করে মোটা টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় ভেস্তে গেল তাদের পরিকল্পনা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট-১ নম্বর ব্লকের উস্তি থানা এলাকায়। অপহরণের ঘটনায় ক্যানিং এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা ও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের এই ভূমিকায় স্বাভাবিক ভাবে খুশি শিশুটির পরিবার।

জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ওই শিশুটির নাম ইয়াসিন আখন। উস্তি থানার সংগ্রামপুরের তালা গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিন বুধবার টিউশন পড়তে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আর বাড়ি ফেরেনি সে। বাচ্চাটির খোঁজ শুরু করে পরিবার। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী এবং পরিচিত কারও কাছে তাঁর খোঁজ না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে উস্তি থানায় শিশুটির নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা।

আর সেদিনই মোটা টাকা মুক্তিপণ চেয়ে শিশুটির বাবা হান্নান আখনের কাছে একটি উড়ো ফোন আসে। তাতে সাত লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। ইয়াসিনকে যে অপহরণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত হয়ে যায় পরিবার। আবার তাঁরা ছোটেন পুলিশের কাছে। এই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই শিশুকে উদ্ধার করতে পুলিশ বাহিনী নিয়ে অভিযানে নেমে পড়ে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) পলাশ কুমার ঢালি এবং এসডিপিও মিতুন দে’র নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী টিম গঠিত হয়। যে ফোন নম্বর থেকে এই মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়েছিল, সেটি ট্র্যাক করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ক্যানিং পৌঁছে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা।

এর পর শুক্রবার গভীর রাতে উদ্ধার হয় ওই শিশুটি। অপহরণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা প্রত্যেকেই শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের অনুমান, শিশুর পরিচিত কোনও ব্যক্তি কিংবা আত্মীয় এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। ডায়মন্ড হারবারের এসপি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপহৃত শিশুকে অক্ষত অবস্থায় বাবা মায়ের কাছে ফেরাতে পেরেছি। এটাই আমাদের কাছে বড় পাওয়া। এখনও পর্যন্ত দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ এ দিকে ছেলেকে ফিরে পেয়ে স্বাভাবিক ভাবে খুশি পরিবারের সদস্যরা। শিশুর বাবা হান্নান জানিয়েছেন, ‘‘পুলিশ যে ভাবে আমার ছেলেকে পাচারকারীদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তাঁদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE