প্রতীকী চিত্র।
পড়শিদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে মা-মেয়ের মারে বৃদ্ধ পল্লি চিকিৎসকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার উত্তর চাতরা গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অর্ধেন্দু বিশ্বাস (৬৭)। পুলিশের পক্ষে অভিযুক্ত মঞ্জুয়ারা বিবিকে আটক করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিজমা নিয়ে উত্তর চাতরা গ্রামে দুই পরিবারের বিবাদ ছিল। একাধিকবার গ্রামে সালিশি সভা বসলেও সমস্যার নিষ্পত্তি হয়নি। প্রায়ই দু’পক্ষের বচসা, হাতাহাতি বাধে। পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল থেকেই দুই পরিবারের মহিলাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি শুরু হয়। বেলার দিকে ঝামেলা আরও বাড়ে। গোলমাল মেটাতে গিয়েছিলেন পড়শি অর্ধেন্দু ও তাঁর স্ত্রী। অর্ধেন্দু মহারাষ্ট্রে পল্লি চিকিৎসকের কাজ করতেন। লকডাউনের আগে বাড়ি ফেরেন। তাঁর মেয়ে দোলা বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল হচ্ছে দেখে মা-বাবা থামাতে গিয়েছিলেন। লাইলি খাতুন ও তার মেয়ে মঞ্জুয়ারা মাকে লাথি মেরে পুকুরের জলে ফেলে দেয়। বাবাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে বুকে লাথি মারে। বাঁশ দিয়েও মারা হয়।’’ অভিযোগ, অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান অর্ধেন্দু। পুলিশ পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনার পরে অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মঞ্জুয়ারাকে আটক করে। লাইলির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। মঞ্জুয়ারা পুলিশের কাছে দাবি করেছে, অর্ধেন্দু আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy