নিজস্ব চিত্র।
হ্যাফপ্যান্ট পরে আসার জন্য তাঁকে টিকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শীর্ষনাথ পন্ডিত নামে এক যুবক। কিন্তু পুরসভার আয়োজিত টিকা শিবিরে পোশাকবিধি মানার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন পুর প্রশাসক পল্লব দাস।
শুক্রবার শীর্ষনাথ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, এ দিন দুপুর ৩টে নাগাদ ওই পুরসভার অন্তর্গত বড়াল কার্যালয়ে টিকা নিতে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে তাঁর বয়স্ক মা-ও ছিলেন। কুপন থাকা সত্ত্বেও তাঁকে টিকা দেওয়া হয়নি কারণ, তাঁর পরনে হাফপ্যান্ট ছিল। তাঁর অভিযোগ, ‘নিয়মবিরুদ্ধ’ পোশাক পরে আসার জন্যই তাঁকে টিকা দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, তাঁকে মানসিক ভাবে হেনস্থাও করা হয়েছে। তবে অনেক অনুরোধের পর তাঁর মা-কে অবশ্য টিকা দেওয়া হয়েছিল।
ওই ঘটনা প্রসঙ্গেই রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান পল্লব বলেন, ‘‘এই ধরনের কোনও ঘটনার খবর পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পুরসভায় আধিকারিকের দফতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে হাফপ্যান্ট পরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ তবে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও নিয়ম নেই।’’
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের শুরুতেই এই পুরসভার পোশাকবিধি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল নেটমাধ্যমে। পুরসভার গেটেই ঝোলানো হয়েছিল ওই ফতোয়া-নোটিস। তাতে লেখা ছিল, ‘অশোভনীয় বা দৃষ্টিকটু পোশাক পরে পৌরসভায় প্রবেশ নিষিদ্ধ।’ পুরসভার তরফে সে সময়ে যুক্তি ছিল, কিছু মানুষ বারমুডা, হাফপ্যান্ট পরে কার্যালয়ে আসছেন বিভিন্ন রকম নাগরিক পরিষেবা নিতে। সেই অবস্থাতেই অনেকে পায়ের ওপর পা তুলে ঘন্টার পর ঘণ্টা বসে থাকছেন চেয়ারে। তাতে শুধু পুরকর্মীরা নন, পরিষেবা নিতে আসা মহিলাদের অস্বস্তি বাড়ছে। তাই এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy