Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
ED

জমি দুর্নীতির তদন্তে এসে আক্রান্ত এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্মীরা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গৌড়দহ এলাকায় সম্প্রতি প্রায় ১৫ বিঘা জমি নিয়ে এলাকার বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে রমেশ চক্রবর্তীর গোলমাল হয়।

ভাঙচুর চালানো হয়েছে গাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

ভাঙচুর চালানো হয়েছে গাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৫১
Share: Save:

জমি দুর্নীতির তদন্ত করতে এসে আক্রান্ত হলেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (ইবি) চার কর্মী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঘুটিয়ারিশরিফের গৌড়দহ এলাকায়। অভিযোগ, ইবি’র গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বাসিন্দাদের একাংশ। সাদা রঙের পুলিশ স্টিকার লাগানো গাড়ির বনেটের উপর বসে আস্ত একটা ইট হাতে পুলিশকে শাসাতে দেখা যায় স্থানীয় এক মহিলাকে। গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করা হয় কর্মীদের। গ্রামবাসীদের দাবি, তদন্তের নামে হয়রানি করা হচ্ছিল। হেনস্থা করা হচ্ছিল মহিলাদের।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গৌড়দহ এলাকায় সম্প্রতি প্রায় ১৫ বিঘা জমি নিয়ে এলাকার বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে রমেশ চক্রবর্তীর গোলমাল হয়। সুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ভাই দেবব্রত মণ্ডল জমি কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, তারা জমির ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমি, বাড়ি বিক্রির নামে জালিয়াতি করত। গতবছর এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেন রমেশ চক্রবর্তী। আদালত থেকে জামিন পায় সুব্রত মণ্ডল। পরে জমি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। গত বৃহস্পতিবার জমি দুর্নীতির তদন্তে এসে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্মীরা দেবব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান। এ দিন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর রাজেন্দ্র মিত্রের নেতৃত্বে চার কর্মী দেবব্রত মণ্ডলকে নিয়ে ওই এলাকায় তদন্তে আসেন। তাঁরা সুব্রত মণ্ডল, দেবব্রত মণ্ডল, গৌর মণ্ডল, বনমালি সাঁপুই-সহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালান। সেই সময়েই স্থানীয় লোকজন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

খবর পেয়ে ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ির ওসি ফারুক রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্মীদের সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসে। পুলিশের দাবি, স্থানীয় ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ির পুলিশকে না জানিয়েও এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্মীরা। এ বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মাকসুদ হাসান বলেন, “এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে।”

এ বিষয়ে সুব্রত মণ্ডল বলেন, “মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্মীরা তদন্তের নামে আমাদের নানা ভাবে হেনস্থা করছিল। বাড়িতে এসে মহিলাদের মারধর করার পাশাপাশি ব্লাউজ ছিঁড়ে দেয়। অন্যায় ভাবে আমাদের কাছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করে। ওই টাকা দিলে তারা কেস মিটিয়ে দেবে বলে জানায়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় হেনস্থা করে। আমার ভাইয়ের কোমরে দড়ি দিয়ে এলাকায় ঘোরায়। সেই কারণে এলাকার লোকজন ক্ষেপে যায়। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পুরো বিষয়টি আমরা থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি।” এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ED Enforcement Directorate Bhangar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE