প্রায় এক বছর আগে প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল হাবরার তিন কিশোর এবং তিন কিশোরী। সে দেশের পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তাদের ঠাঁই হয়েছিল হোমে। অবশেষে আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়ে পেট্রোপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফিরে এসেছে তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দু’জন কিশোরকে সল্টলেকের জুভেনাইল আদালতে তোলা হয়েছে। অন্য কিশোরটিকে দিন কয়েক আগে ওই আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তিন জন কিশোরীকেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া তিন কিশোরীর মধ্যে একজন নবম শ্রেণিতে পড়ত, বাকি দু’জন দশম শ্রেণিতে। স্কুলে যাতায়াতের পথে তিন কিশোরের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। সেখান থেকেই প্রেম। তারপর ২০১৫ সালের অগস্ট মাসে হাবরা থেকে ট্রেনে করে বনগাঁ স্টেশনে নেমে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়ে বেনাপোলে। সেখান থেকে ইঞ্জিন বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। দিন কয়েক পরে সে দেশের সোনাডাঙা থানার পুলিশ তাদের ধরে কিশোরীদের ঢাকার হোম এবং ছেলেদের যশোরের হোমে
পাঠিয়ে দেয়।
মেয়েদের খুঁজে না পেয়ে তিন কিশোরীর পরিবার হাবরা থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন। পরে কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই কিশোর-কিশোরীদের বাংলাদেশে থাকার কথা জানতে পারে। তাদের পরিবারে খবর পাঠানো হয়। প্রথমে দিন কয়েক আগে তিন কিশোরকে ফেরত পাঠানো হয়। সোমবার ফেরে তিন কিশোর।
মেয়েদের ফিরে পেয়ে খুশি তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা। এক কিশোরীর মা বলেন, ‘‘একটা সময়ে আমরা ধরেই নিয়েছিলাম, মেয়েদের আর ফিরে পাব না। ওরা ফিরে আসায় আমি খুশি।’’