Advertisement
E-Paper

অভাব নেই রক্তের, তবু সঙ্কটে রোগী

ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে প্রায় সারা দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে মানুষ রক্তের জন্য যোগাযোগ করেন। প্রতি মাসে প্রায় ১২০০ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীর রক্তের জোগানের ব্যবস্থা হয় এখান থেকে।

দিলীপ নস্কর

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ১২:৫০

ভরা গরমে রক্তের অভাব মেটাতে রাজ্য জুড়ে থানাগুলিকে রক্তদান শিবির আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রক্তের অভাব মোকাবিলার জন্য অবশ্য সারা বছরই নানা ভাবে প্রস্তুতি নেয় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। স্বাস্থ্য কর্মীরা শিবির করার পাশাপাশি নানা এলাকায় বিভিন্ন ক্লাব বা সংগঠনের রক্তদান শিবির থেকে প্রচুর পরিমাণ রক্ত সংগ্রহে রাখা হয়। ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে সারা বছর গড়ে ৫ হাজার ইউনিট রক্ত সংগ্রহ হতো। ইদানীং তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ইউনিটে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে থানাগুলির উদ্যোগেও শিবির হয়েছে।

কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি এখানে। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের উপাদান পৃথকীকরণের (সেপারেশন) ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। ফলে প্রয়োজনে অনেককেই কলকাতার ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি থেকে রক্ত সংগ্রহের জন্য আসতেই হয়।

ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে প্রায় সারা দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে মানুষ রক্তের জন্য যোগাযোগ করেন। প্রতি মাসে প্রায় ১২০০ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীর রক্তের জোগানের ব্যবস্থা হয় এখান থেকে।

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য লাগে লোহিত কনিকা (আরবিসি)। কারও হয় তো লাগে প্লাজমা। হোল ব্লাড অর্থাৎ পুরো রক্তের ইউনিট (যে অবস্থায় তা সংগৃহীত হয়) লাগে খুব কম ক্ষেত্রেই। কিন্তু রক্তের সেই পৃথককীকরণ ব্যবস্থাই নেই জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে।

হাসপাতাল সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘এই হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক চালু হওয়ার পর থেকেই কোনও কারণে রক্তের আকাল দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকলেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা নিজেরাই ৩০-৪০ জন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ক্যাম্প করি। কিন্তু রক্তের উপাদানগুলি পৃথকীকরণের ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা হয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছে।’’ রক্তের উপাদান পৃথকীকরণের জন্য দরকার পৃথক ল্যাবরেটরি। তা তৈরিতে তাঁরা প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন সুপার। এখন স্বাস্থ্য দফতরের সবুজ সঙ্কেত মিললেই রক্তের উপাদান পৃথকীকরণের ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বছরখানেকের মধ্যে রক্ত পৃথকীকরণের যন্ত্র বসানো হবে।’’

Blood Blood Bank Crisis Patients রক্ত
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy