Advertisement
E-Paper

পেট্রাপোলে বন্ধ রফতানি

শুল্ক দফতরের একটি নির্দেশের প্রতিবাদে এবং তা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলে শনিবার বন্ধ থাকল বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য রফতানির কাজ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২৮
দাঁড়িয়ে ট্রাকের সারি। শনিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

দাঁড়িয়ে ট্রাকের সারি। শনিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

শুল্ক দফতরের একটি নির্দেশের প্রতিবাদে এবং তা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলে শনিবার বন্ধ থাকল বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য রফতানির কাজ।

এ দিন ক্লিয়ারিং এজেন্ট এবং স্থানীয় রফতানি ও আমদানিকারীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মবিরতি পালন করা হয়। তার জেরেই পণ্য রফতানি হয়নি দিনভর। তবে বাংলাদেশ থেকে আমদানির কাজ হয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই। আজ, ররিবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

পেট্রাপোল এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, শুল্ক দফতরের পক্ষ থেকে যদি নির্দেশ প্রত্যাহার করা না হয়, তা হলে রবিবার থেকে পণ্য আমদানির কাজও বন্ধ থাকবে। সমস্যা মেটাতে শনিবার শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ক্লিয়ারিং এজেন্ট এবং রফতানি- আমদানিকারীদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও সমাধান সূত্রে বের হয়নি।

বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ জানুয়ারি পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের সহকারী কমিশনারের (এক্সপোর্ট) স্বাক্ষর করা নির্দেশে বলা হয়েছে, দশটি রফতানিকারী সংস্থার পণ্য-বোঝাই ট্রাককে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজ কর্পোরেশনের গোডাউন থেকে দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে। ২৯ জানুয়ারি থেকে নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, গত আর্থিক বর্ষে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যে রফতানিরকারী সংস্থা বেশি টাকার পণ্য পাঠিয়েছে, তাদের মধ্যে থেকেই প্রথম দশটি সংস্থাকে বেছে এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে, শুল্ক দফতরের নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ক্ষোভ ছড়ায়। বৃহস্পতিবার বিকেলেও কয়েক ঘণ্টা পণ্য রফতানি বন্ধ ছিল। শুক্রবার এমনিতেই বাণিজ্যের কাজ বন্ধ থাকে। শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ, কর্মবিরতি।

পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে এখন দৈনিক গড়ে ২৫০-৩০০ পণ্য-বোঝাই ট্রাক ঢোকে। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে নির্দিষ্ট দশটি রফতানিকারী সংস্থার বাইরে যে হাজার হাজার রফতানিকারী আছেন গোটা দেশে, তাঁরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে।’’ কার্তিকবাবুর দাবি, যদি বাংলাদেশে দৈনিক গড়ে ৫০০-৬০০ পণ্য-বোঝাই ট্রাক ঢুকতে পারত, তা হলে সমস্যা হতো না।

Export Petrapole
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy