Advertisement
E-Paper

শাহজাহানকাণ্ডের পর প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক সন্দেশখালিতে, উপস্থিত মমতার দূত মন্ত্রী সুজিত

শনিবার সন্দেশখালির ন্যাজাটে প্রশাসনিক বৈঠকটি হয়। বৈঠকে মন্ত্রী সুজিতের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক, সন্দেশখালি দুই ব্লকের বিডিও, বসিরহাটের পুলিশ সুপার।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৪ ১৭:২৫
(বাঁ দিক থেকে) সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

(বাঁ দিক থেকে) সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। —নিজস্ব চিত্র

শাহজাহানকাণ্ডের জেরে চলতি বছরের শুরু থেকেই সংবাদ শিরোনামে ছিল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। শনিবার সেই সন্দেশখালিতেই হল প্রশাসনিক বৈঠক। শাহজাহানকাণ্ডের পর প্রথম বারের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

শনিবার সন্দেশখালির ন্যাজাটে প্রশাসনিক বৈঠকটি হয়। বৈঠকে সুজিতের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালি ১ এবং ২ ব্লকের বিডিও, বসিরহাটের পুলিশ সুপার, পঞ্চায়েত প্রধান এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী এবং সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বৈঠকে সন্দেশখালির উন্নয়ন, নদী বাঁধ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।

গত জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য রাজনীতির চর্চায় রয়েছে সন্দেশখালি। শাহজাহান শেখের বাড়িতে ইডি আধিকারিকদের যাওয়া, তাঁর ‘অনুগামীদের’ প্রতিরোধ এবং কয়েক দিনের মধ্যে শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে জমি দখল-সহ গ্রামবাসীদের একাধিক অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার হন শাহজাহান। শাহজাহানকাণ্ডে সন্দেশখালি যখন উত্তাল, তখন তৃণমূলের তরফে সেখানে পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন সুজিতও।

কয়েক মাস ধরে ওই এলাকায় উন্নয়নের কাজ বন্ধ রয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে। নবান্ন সূত্রে জানা যায়, সন্দেশখালির উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী সেখানকার প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে বৈঠকের পরামর্শ দেন মন্ত্রী সুজিতকে। বৈঠকে থাকতে বলা হয় বিধায়ক সুকুমারকেও।

বৈঠকের পর সুজিত বলেন, “সন্দেশখালিতে লোকসভা ভোটের আগে একটা ইস্যু তৈরি করে জাতীয়স্তরে প্রচার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি। আপনারা দেখেছেন, ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটে আমাদের তৃণমূলের প্রার্থী বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছেন।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “সন্দেশখালির মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন। সন্দেশখালি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে রয়েছে, আর সেই কারণেই এই প্রশাসনিক বৈঠক। যত দ্রুত সম্ভব, আমাদের উন্নয়নের কাজগুলি শেষ করতে হবে।”

Administrative Meeting sandeshkhali Sandeshkhali Incident Sujit Bose
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy