Advertisement
E-Paper

চারদিন ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়ানো হল শিশুকে

শ্বাসকষ্ট, কাশি নিয়ে ভর্তি হয়েছিল সাড়ে ছ’মাসের শিশুটি। গত চার দিন ধরে তাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খাওনোর অভিযোগ উঠল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে।মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে শিশুর এক আত্মীয়ের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৭
এই ওষুধই খাওয়ানো হয়েছিল বাচ্চাটিকে। নিজস্ব চিত্র।

এই ওষুধই খাওয়ানো হয়েছিল বাচ্চাটিকে। নিজস্ব চিত্র।

শ্বাসকষ্ট, কাশি নিয়ে ভর্তি হয়েছিল সাড়ে ছ’মাসের শিশুটি। গত চার দিন ধরে তাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খাওনোর অভিযোগ উঠল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে।

মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে শিশুর এক আত্মীয়ের। পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালের সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো ও বনগাঁ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘এমন ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি। আমরা তদন্ত করে দেখছি।’’

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালনগর থানার হরিশপুরের বাসিন্দা নাসিরুদ্দিন সর্দারের সাড়ে ছ’মাসের মেয়ে মিমকে শনিবার রাতে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালের শিশুবিভাগে। মেয়ের সঙ্গে থাকছেন মা সাকিনাও।

অভিযোগ শিশুকে দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওষুধ লিখে দেন। যা বাইরে থেকে কিনতে আনতে বলা হয় দিনমজুর পরিবারটিকে। একটি কাশির সিরাপ কিনে আনেন আত্মীয়েরা। দেখা যাচ্ছে, তার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। ওষুধ কেনা হয়েছিল ৭ জানুয়ারি। সেই ওষুধ সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই শিশুকে খাওয়ানো হচ্ছিল।

এ দিন সকালে নাসিরুদ্দিনের এক আত্মীয়ের নজরে আসে বিষয়টি। নাসিরুদ্দিন বলেন, ‘‘সুপার আমাদের জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি এক বছর বয়স পর্যন্ত কোনও শিশুর ওষুধ বাইরে থেকে কেনার প্রয়োজন নেই। সব ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়। তারপরেও আমাদের এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০০ টাকার ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।’’

কিন্তু হাসপাতাল থেকে ওষুধ না দিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বলা হচ্ছে কেন?

চিকিৎসকেরা কেন বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হবে, এমন ওষুধ লিখছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন সুপার।

শিশুর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের ওয়ার্ডে নার্সরা আছেন। টাকা দিয়ে আয়াও রাখা হয়েছে। তারপরেও কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়ানো হল শিশুটিকে? এতে করে অসুস্থতা বাড়তেও পারত। শিশুটির উপরে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

expiry date medicine child hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy