ভাঙচুর: ভাঙড়ের ব্লক অফিসে। ইনসেটে, জখম ওসি। নিজস্ব চিত্র
দল এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তার আগেই ভাঙড়ে তৃণমূলের বেশ কয়েকজনের মনোনয়নপত্র জমা পড়ল।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করেও ফের ভাঙড়ের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এল। বৃহস্পতিবার ভাঙড় ২ ব্লক অফিসে এই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ভাঙচুর করা হয় ব্লক অফিসের চেয়ার, টেবিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। দু’পক্ষকে সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠি চালায়। দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে জখম হন ওসি বিশ্বজিৎ ঘোষ। তাঁর পায়ে চোট লাগে। অন্য পুলিশ কর্মীরা তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বারুইপুর জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে একটি গন্ডগোল হয়েছে। গন্ডগোল থামাতে গেলে পুলিশের উপরেও হামলা চালনো হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।’’
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তৃণমূলের এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীকে বাধা দিচ্ছে। দিন কয়েক ধরেই তা চলছে। এখান থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত।
ভাঙড় ২ ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে কারা দলীয় প্রতীকে লড়বে তা এখনও ঠিক করেনি শাসকদল। অভিযোগ, জেলা নেতৃত্বের অনুমোদন পাওয়ার আগেই ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, ওহিদুল ইসলাম, নান্নু হোসেনের গোষ্ঠী তাঁদের মতো করে প্রার্থী ঠিক করে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু করেছেন। এ দিন নান্নু গোষ্ঠীর লোকজন মনোনয়ন জমা দিতে ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন। সে সময়ে আরাবুল গোষ্ঠীর লোকজন গিয়ে ঝামেলা করে বলে অভিযোগ। তখনই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বসচা থেকে মারামারি বেধে যায়। ভাঙচুর করা হয় সরকারি চেয়ার, টেবিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভাঙড় ২ ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘একটি গন্ডগোল হয়েছে। কয়েকটি চেয়ার ভাঙা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন বলেন, ‘‘মনোনয়ন জমা দেওয়ার লাইনে অনেকটা সময় লাগার কারণে অধৈর্য্য হয়ে বচসা বেধেছিল। তা থেকেই গন্ডগোল হয়েছে। এটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। দলের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।’’
আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কিছু নেই। ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটা ঝামেলা হয়েছে। তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’ তবে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনা দুই নেতাই এড়িয়ে যান। এ নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করেননি।
এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ নোদাখালি নতুন রাস্তার মোড়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে সিপিএমের লোকেরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখায়। এই ঘটনায় পুলিশের গাড়ির চালক আহত হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy