Advertisement
E-Paper

হেডফোন কানে মিলল যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ

প্রেমিকার সঙ্গে গোলমালের জেরে গলায় গামছার ফাঁস জড়িয়ে এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ওই যুবক ফোনে প্রেমিকার সঙ্গেই কথা বলছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৪
রিঙ্কু হালদার

রিঙ্কু হালদার

প্রেমিকার সঙ্গে গোলমালের জেরে গলায় গামছার ফাঁস জড়িয়ে এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ওই যুবক ফোনে প্রেমিকার সঙ্গেই কথা বলছিল। ঝুলে থাকা অবস্থায় যুবকের কানে হেডফোন মেলে। প্যান্টের পকেটে ছিল মোবাইল।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টে নাগাদ অশোকনগর থানার গুমা প্রমোদনগর এলাকার ঘটনার। মৃতের নাম রিঙ্কু হালদার (২১)। তাঁর বাবা হরলাল রাতেই থানায় বছর সতেরোর ওই নাবালিকার বিরুদ্ধে ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। পুলিশ মেয়েটিকে আটক করেছে। তাকে শুক্রবার জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়। রিঙ্কুর দেহ ময়নাতদম্তে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রমোদনগরের ওই মেয়েটির সঙ্গে দু’বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রিঙ্কুর। সম্প্রতি দু’জনের সম্পর্কে চিড় ধরে। অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল মেয়েটি, এমন অভিযোগ রিঙ্কুর বাড়ির লোকজনের। তা নিয়েই অশান্তি।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে গামছা নিয়ে স্নানে যাবে বলে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন রিঙ্কু। রাস্তার পাশের কলে স্নান সারার কথা ছিল। হরলাল বলেন, ‘‘ছেলে ঘর থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে এক মহিলার চিৎকারে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। দেখি, পাশেই আমার শ্যালকের বাড়িতে আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলে রয়েছে ছেলে। কানে হেডফোন।’’

আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে বারাসত জেলা আদালতে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে একটি চিঠি লিখেছিলেন রিঙ্কু। ওই চিঠি এবং মোবাইল ফোন পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন পরিবারের সদস্যেরা।

মেয়েটি তদন্তকারী অফিসারদের জানিয়েছে, রিঙ্কুর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু রিঙ্কু তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত। সম্প্রতি মেয়েটি মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালেও তাদের মধ্যে ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। নাবালিকার দাদা বলেন, ‘‘মা অসুস্থ। বাবা নেশা করেন। মাস ছ’য়েক আগে বোনের এই সম্পর্কের কথা জানতে পারি। বোনকে নিষেধ করেছিলাম।’’

Death Youth Earphone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy