কোথাও গাছ পড়ে ভেঙে গিয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছাদ, কোথাও জলস্রোতে ভেসে গিয়েছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমস্ত ওষুধ, নথি। ফলে, গত দু'দিন ধরে বিঘ্নিত হচ্ছে সমস্ত উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যপরিষেবা। এমনই পরিস্থিতি গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলি, ভাঙড়-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার অধীন অধিকাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে গোসাবা ব্লকের ১২টি পঞ্চায়েত এলাকায় ২৫টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র জলস্রোতে ভেসে গিয়েছে। রাঙাবেলিয়ায় দুটি ও ছোট মোল্লাখালির স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ভেসে গিয়েছে সমস্ত নথিপত্র। ভাঙড় ১ ব্লকের নলমুড়ি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গাছ পড়ে ছাদ ভেঙে গিয়েছে। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার ভাঁটিপোতা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেরও ক্ষতি হয়েছে। কুলতলি ব্লক এলাকায় ১২টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে জল ঢুকে গিয়েছে। কুলতলির ভুবনেশ্বরী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার অধীনে ৫০টিরও বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ওই সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা নিজেরাও জলমগ্ন হয়ে পড়েছেন। ওই সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নদীর নোনা জল ঢুকে ওষুধপত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসপত্র ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি কবে স্বাভাবিক হবে এবং মানুষ চিকিৎসার পরিষেবা পাবেন তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ এবং করোনা পরীক্ষার কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়াও সদ্যোজাত শিশুদের অন্যান্য টিকাকরণের কাজেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ইয়াসে স্বাস্থ্য জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খুবই ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা চেষ্টা করছি পরিষেবা দিতে। কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কাজ
বিঘ্নিত হচ্ছে।”