Advertisement
E-Paper

কন্যা সন্তান জন্মের পরে অত্যাচার, মৃত্যু বধূর

পণের দাবিতে অত্যাচার চলতই। অভিযোগ, কন্যা সন্তান হওয়ায় তা আরও বাড়ে। শেষমেশ মারা গিয়েছেন গোপালনগরের বাসিন্দা পিঙ্কি কর্মকার (২০)। তাঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ বাপের বাড়ির আত্মীয়দের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৭ ০৩:০০

পণের দাবিতে অত্যাচার চলতই। অভিযোগ, কন্যা সন্তান হওয়ায় তা আরও বাড়ে। শেষমেশ মারা গিয়েছেন গোপালনগরের বাসিন্দা পিঙ্কি কর্মকার (২০)। তাঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ বাপের বাড়ির আত্মীয়দের। স্বামী তারক-সহ শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আড়াই আগে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা পিঙ্কির সঙ্গে বিয়ে হয় তারকের। সে গাড়ির মিস্ত্রি। বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়েতে চাহিদা মতো টাকা, গয়না সবই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর পরেও মেয়ের শ্বশুরবাড়ির থেকে মাঝে মধ্যেই টাকা চাওয়া হতো বলে অভিযোগ। তা না দিলে মেয়ের উপর শারীরিক, মানসিক নির্যাতনও চলত।

অভিযোগ, আড়াই মাস আগে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন পিঙ্কি। সে সময় থেকে অত্যাচার আরও বাড়ে বলে অভিযোগ তাঁর বাবা বিমলবাবুর। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছিল। দিন কুড়ি আগে জামাই মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়। বলেছিল, আর কোনও সমস্যা হবে না।’’ বিমলবাবু জানিয়েছেন, মেয়েসন্তান জন্মের পিছনে মায়েদের ভূমিকা থাকে না, এ কথা শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন পিঙ্কি। কিন্তু কেউ সে কথা কানে তোলেনি।

পিঙ্কির বাবা জানান, সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ মেয়ের শ্বশুর বাড়ির এক আত্মীয় ফোন করে জানান, মেয়ে অসুস্থ। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর ভাই নরোত্তম বলেন, ‘‘হাসপাতালে গিয়ে দেখি দিদির দেহে ততক্ষণে প্রাণ নেই। ওকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে বলেই আমাদের অনুমান।’’

Death Girl Child House wife Torture
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy