গ্রেফতার আইএসএফের তিন কর্মী। মাঝখানে আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা খাতুনের স্বামী করিমুল মোল্লা। —নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড়ের জেলা পরিষদের আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা খাতুনের ‘নিখোঁজ’ স্বামীকে গ্রেফতার করল কাশীপুর থানার পুলিশ। রবিবার তাঁর খোঁজ নিতে এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে ভাঙড়ে যেতে চেয়েছিলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। যদিও পুলিশি বাধায় তিনি নিজের বিধানসভা এলাকায় ঢুকতে পারেননি। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতেই জাহানারার স্বামী করিমুল মোল্লাকে দিঘা থেকে দমদম আসার পথে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিরাপত্তার কথা ভেবে বারুইপুর থানায় রাখা হয়েছে করিমুলকে।
গত মঙ্গলবার রাতে পঞ্চায়েত ভোটগণনার সময় উত্তেজনা ছড়ায় কাশীপুর থানার অন্তর্গত কাঁঠালিয়া হাই স্কুলের গণনাকেন্দ্রে। আইএসএফ অভিযোগ করে, তাদের জেলা পরিষদের এক প্রার্থী জাহানারা খাতুনকে কারচুপি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে গন্ডগোল শুরু হয়। আইএসএফ এবং পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। মোট তিন জন নিহত হন। পর দিন অর্থাৎ, বুধবার জানা যায় মৃতদের মধ্যে দু’জন আইএসএফ কর্মী এবং এক জন সাধারণ গ্রামবাসী। পাশাপাশি বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হন। ওই ঘটনায় বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, করিমুল গণনার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার রাতে দিঘা থেকে ফেরার সময় দমদম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর স্ত্রী জাহানারা খাতুনের খোঁজ চলছে। করিমুলের পাশাপাশি আসাদুল মোল্লা এবং রাহুল মোল্লা নামে দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য দিকে, ভোগালি এলাকা থেকেও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশের দাবি, করিমুলের সঙ্গে ধৃত রাহুল ভাঙড় থানার একাধিক সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্ত। দীর্ঘ দিন তিনি পলাতক ছিলেন। গ্রেফতার হওয়া আসাদুল আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করতেন বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy