হেঁইয়ো: চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র
খাল পাড়ের ধস নামার পরেই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও এলাকা বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করল সেচ দফতর। আপাতত শালবল্লার খুঁটি পুঁতে অস্থায়ী ভাবে ধস আটকানোর চেষ্টা চলছে। কাজের তদারকিতে দফতরের আধিকারিক-সহ কর্মীরা মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে আছেন। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওটা পুরসভা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছিল। এখন বড় রকম ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাই আমাদের মেরামতির দায়িত্ব নিতে হবে। আপাতত অস্থায়ী ভাবে সংস্কার হচ্ছে। পরে পাকাপাকি ভাবে করা হবে।’’
সোমবার ভোরে ডায়মন্ড হারবারের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের টোল ট্যাক্স মোড় থেকে লালপোল হয়ে কলেজ যাওয়ার পথে শিবালয়ের কাছে বিচারক আবাসনের পাশে মগরাহাট খালের পাড়ের প্রায় সাড়ে ৩০০ ফুট ধস নামে। আতঙ্ক ছড়ায়। ওই খালপাড়ের পাকা রাস্তা পুরোপুরি ধসে গেলে বিভিন্ন বিভিন্ন অফিস ভবনের ক্ষতির পাশাপাশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এলাকা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পারছে পুরসভা ও প্রশাসনও। ঘটনা শুনে সেচমন্ত্রী তড়িঘড়ি নিজের দফতরকে ঘটনারস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
গার্ডওয়াল তৈরিতে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। পুরসভার বাস্তুকার প্রবীর পোল্লে বলেন, ‘‘আমার তদারকিতেই ওই গার্ডওয়াল নির্মাণ হয়েছিল। কোনও ত্রুটি ছিল না। কারণ, প্রায় ১ কিলোমিটার গার্ডওয়ালের ওই জায়গাতেই ধস নেমেছে। পুরসভার সীমিত ক্ষমতায় ওই কাজ করা হয়েছিল। পাশাপাশি সেচ দফতরকে বোল্ডার পাইলিং করার জন্য বলাও হয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে দোষারোপের সময় নয়। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বাঁচাতে সকলকেই উদ্যোগী হতে হবে।’’
ডায়মন্ড হারবারের পুরপ্রধান মীরা হালদার বলেন, ‘‘বিরোধীরা অভিযোগ করতেই পারেন। ওই খালে জোয়ার-ভাটা খেলে। তা ছাড়া, এটা দুর্যোগ ছাড়া কিছু নয়। ওখানে কয়েক বছর আগেও ছোট ধস নেমেছিল। মাটির কোনও সমস্যা আছে কিনা, তা বাস্তুকারেরা বলতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy