টানা ১০ থেকে ১২ দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি চলছিল। ঘরের মধ্যে জল জমতে শুরু করে। আমরা মাস তিনেক আগে কেরলের পেরিনথালমান্না এলাকায় বাড়ি নির্মাণের কাজে গিয়েছিলাম।
একটি ঘরে ৬ জন থাকি। দিনের পর দিন বৃষ্টি হওয়ায় কোনও কাজ ছিল না। তাই আমরা তিনজন ঠিক করি বাড়ি ফিরে আসব। ১৬ অগস্ট সন্ধ্যায় ফেরার কথা। ঠিক তার আগের দিনই বন্যার জল ঢুকতে শুরু করে। ডুবে যায় সারা এলাকা। তবু বাড়ি ফেরার চেষ্টা ছাড়েনি। যে রাস্তা দিয়ে যাব সেই রাস্তাও জলে ডুবে রয়েছে। বাড়ি থেকে বেরিয়েই দেখি, হাঁটু সমান জল। তা পেরিয়ে কোনও রকমে মূল সড়কে এলাম। সেখানেও একই অবস্থা। একের পর এক গাড়ি বদলাচ্ছি। আর ভাবছি যে ভাবেই হোক স্টেশনে পৌঁছতেই হবে। খুব কষ্ট করে কোনও রকমে পৌঁছলাম চেন্নাই স্টেশনে। সেখানেও বিপত্তি। রেললাইন জলে ডুবে রয়েছে। ফলে ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়েছে। শেষমেশ সেখান থেকেই ট্রেন ধরে কলকাতায় পৌঁছই। আমি নামখানা ব্লকের মৌসুনি পঞ্চায়েতের বালিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা।
২০০৯ সালে আয়লায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকেছিল। তখন ঘরবাড়ি, জমি সব সমুদ্রে তলিয়ে যায়। এরপরেই দীর্ঘদিন কোনও কাজ জোটেনি। বেশ কিছু বছর ওখানে কাটালাম। তবে এমন দৃশ্য কখনও দেখেনি।