Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বন্‌ধেও খোলা থাকে কালীবাড়ি বাজার

যে দলই বন্‌ধ ডাকুক, বন্ধ থাকে না বনগাঁর বনগাঁ-চাকদহ সড়কের পাশের কালীবাড়ি বাজার। পুরভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বন্‌ধ ডেকেছিল বাম-বিজেপি। কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও সকাল ৭টা থেকেই বাজার বসেছে। লোকজনের ভিড়ও ছিল। কেনাবেচা হয়েছে আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক ভাবে। শহরের অন্য এলাকা থেকেও অনেকে এ দিন এসেছিলেন কালীবাড়ি বাজারে।

ভালই কেনাবেচা হল বন্‌ধের দিন। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

ভালই কেনাবেচা হল বন্‌ধের দিন। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

সীমান্ত মৈত্র
বনগাঁ শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৫ ০৩:১২
Share: Save:

যে দলই বন্‌ধ ডাকুক, বন্ধ থাকে না বনগাঁর বনগাঁ-চাকদহ সড়কের পাশের কালীবাড়ি বাজার।

পুরভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বন্‌ধ ডেকেছিল বাম-বিজেপি। কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও সকাল ৭টা থেকেই বাজার বসেছে। লোকজনের ভিড়ও ছিল। কেনাবেচা হয়েছে আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক ভাবে। শহরের অন্য এলাকা থেকেও অনেকে এ দিন এসেছিলেন কালীবাড়ি বাজারে।

বাজারটি তৈরি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর আগে। প্রথম দিকে অবশ্য বন্‌ধে বাজার খোলা থাকত না। কিন্তু এখন বাজারটি খোলা রাখা হয়। বাজার এখন দেখভাল করে স্থানীয় বলাকা সমিতি। সমিতির সম্পাদক সুরজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘কোনও রাজনৈতিক দলের ডাকা বন্‌ধে বাজার বন্ধ না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একমাত্র এই বাজারের কোনও ব্যবসায়ী মারা গেলে নির্দিষ্ট তারিখে তাঁর স্মৃতিতে বাজার বন্ধ রাখা হয়। ব্যবসায়ীদের জানিয়ে ওই দিন ঠিক করা হয়।’’ কিন্তু কেন বন্‌ধে বাজার বন্ধ করা হয় না? সুরজিৎবাবু বলেন, ‘‘বাজার বন্ধ রাখলে প্রচুর গরিব ব্যবসায়ী আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সাধারণ মানুষও অসুবিধার মধ্যে পড়েন। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’’

বাজার কমিটি থেকে জানা যায়, বাজারটি যখন তৈরি হয়েছিল, তখন হাতে গোনা কয়েকটি দোকান বসত। বাজারের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানের সংখ্যা বেড়ে এখন প্রায় দেড়শো হয়েছে। রোজ কয়েক হাজার মানুষ এখানে জিনিস কিনতে আসেন। স্থানীয় শক্তিগড় এলাকার বাসিন্দা বাপী সাহা দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ওই বাজারে সব্জি বিক্রি করেন। বাপিবাবু বলেন, ‘‘বন্‌ধের দিনে বাজার খোলা থাকায় আমাদের খুবই সুবিধা হয়। কারণ দোকান বন্ধ থাকলে সব্জি নষ্ট হয়ে যেত। আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতাম। এখন আর আমাদের সেই সমস্যা হয় না।’’ ২৫ বছর ধরে এখানে বাজার করছেন অনন্ত ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘বন্‌ধে আমাদের ভরসা এই বাজার।’’ স্থানীয় গাঁধীপল্লির বাসিন্দা বুলা ঢালির কথায়, ‘‘বন্‌ধ বলে এখানে বাজার করতে এসেছি। কারণ আমরা জানি বন্‌ধে এখানে বাজার খোলা থাকে।’’ এই সিদ্ধান্তে খুশি মৎস্য ব্যবসায়ী ধীরেন পালও।

রাজনৈতিক দলগুলির তরফে অতীতে বন্‌ধে বাজার বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হত। কিন্তু এখন আর করা হয় না বলে জানান সুরজিৎবাবু। কারণ, সকলেই জেনে গিয়েছেন, অনুরোধ করেও লাভ হবে না। এ বারও বাজার বন্ধ রাখার কথা কেউ বলতে আসেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE