E-Paper

ভাঙড়ে চুরি যাচ্ছে ট্র্যাফিক সাইনের বোর্ড, বিপাকে পুলিশ

সূত্রের খবর, বৈরামপুর এলাকা থেকে সম্প্রতি দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ট্র্যাফিক সাইন সহ লোহার পাইপ চুরি হয়ে গিয়েছে।

সামসুল হুদা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫ ০৯:০২
চুরি যাচ্ছে এই ধরনের বোর্ড।

চুরি যাচ্ছে এই ধরনের বোর্ড। নিজস্ব চিত্র ।

সরকারি সিগন্যাল পোস্ট থেকে কনভেক্স মিরর— চোরেদের নিশানায় এ বার পুলিশের পরিকাঠামোই!

অন্ধকার নামতেই শুরু হচ্ছে চুরি। ইতিমধ্যে চুরি গিয়েছে একাধিক ট্র্যাফিক সাইন দেওয়া পোস্ট, সিগন্যাল পোস্ট, এমনকী সিসিটিভি ক্যামেরাও। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ড।

কলকাতা পুলিশের আওতায় নতুন ভাঙড় ডিভিশন চালু হয় ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি। আটটি থানা ও একটি ট্র্যাফিক গার্ড নিয়ে শুরু হয় পথচলা। উদ্দেশ্য ছিল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা উন্নত করা। এক বছরের মধ্যেই ট্র্যাফিক গার্ডের সজ্জিত পরিকাঠামোর উপরে এমন ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি এখন পুলিশের নিজের জিনিসপত্র রক্ষা করাই নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্রের খবর, বৈরামপুর এলাকা থেকে সম্প্রতি দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ট্র্যাফিক সাইন সহ লোহার পাইপ চুরি হয়ে গিয়েছে। বাসন্তী হাইওয়েতে দুর্ঘটনা রুখতে লাগানো হয়েছিল সিগন্যাল পোস্ট, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর বোর্ড ও অন্যান্য যান চলাচল সংক্রান্ত চিহ্ন দেওয়া বোর্ড। ভাঙড়, হাড়োয়া ও সোনারপুর রোডে মিলিয়ে একশোর বেশি সাইন দেওয়া পোস্ট লাগানো হয়েছিল। তারই একাংশ উধাও হয়ে যাচ্ছে রাতারাতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেলে বসানো সিমেন্টের বেদিতে গাঁথা পোস্ট পর দিন সকালেই দেখা যাচ্ছে, তা গায়েব। শুধু সাইন পোস্ট নয়, বাঁকের মুখে দুর্ঘটনা এড়াতে বসানো কনভেক্স মিররও চুরি হচ্ছে। চন্দনেশ্বর এলাকা থেকে সম্প্রতি এই ধরনের একটি বড় উত্তল আয়না চুরি যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

চুরি হওয়া সরকারি জিনিস উদ্ধারে এখনও পর্যন্ত কোনও সাফল্য মেলেনি। ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে চন্দনেশ্বর থানায় দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হলেও চোরেদের হদিশ মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

এলাকাবাসীদের প্রশ্ন, পুলিশ যদি নিজেদের জিনিসপত্রই রক্ষা করতে না পারে, তা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টির তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bhangar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy