E-Paper

একই স্কুলে বিএলও-র দায়িত্বে ১১ জন শিক্ষক

পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পড়ুয়া রয়েছে। আগে ৫৪ জন শিক্ষক ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আগেই ৮ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল।

সৈকত ঘোষ

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৩০
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

স্কুলের ১১ জন শিক্ষককে বিএলও নিযুক্ত করায় পঠনপাঠন কার্যত শিকেয় উঠেছে মথুরাপুর ১ ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলে। বাকি শিক্ষকদের উদ্যোগে স্কুল চালু রাখা হলেও অনেক ক্লাসই ফাঁকা যাচ্ছে। পড়ুয়াদের আনাগোনাও কমছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।

পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পড়ুয়া রয়েছে। আগে ৫৪ জন শিক্ষক ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আগেই ৮ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৪৬। এই অবস্থায় স্কুলের ১১ জন শিক্ষককে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত করায় বর্তমানে স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা ৩৫। শিক্ষকের অভাবে প্রতিদিন প্রায় চল্লিশের বেশি ক্লাস কার্যত বন্ধই রাখা হচ্ছে।

শীঘ্রই স্কুলে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হবে। তা ছাড়া, নভেম্বরে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সিমেস্টার এবং দ্বাদশ শ্রেণির চতুর্থ সিমেস্টার শুরু হবে। ফলে ক্লাস নেওয়া, বিভিন্ন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা, খাতা দেখা, রেজাল্ট দেওয়ার জন্যও পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই বলে অভিযোগ। স্কুলের স্বাভাবিক পঠনপাঠন চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকেরা।

অভিভাবক শেখর নাটুয়া, মামুন হালদারেরা বলেন, ‘‘স্কুলে এখন অনেক ক্লাস কম হচ্ছে। এত শিক্ষক কম থাকলে কী ভাবে স্কুলের পড়াশোনা চলবে জানি না৷’’ প্রধান শিক্ষক চন্দনকুমার মাইতি বলেন, ‘‘এ ভাবে এত জন শিক্ষককে বিএলও করায় স্কুলের স্বাভাবিক পঠনপাঠন বন্ধ হওয়ার মুখে। শিক্ষার অধিকার আইন লঙ্ঘন করে শিশুদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষকদের বদলে অন্য কর্মীদের নিয়োগ করা হলে ভাল হত।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

mathurapur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy