Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Left

স্মারকলিপি ঘিরে উত্তেজনা অশোকনগরে

পুরভবনের সামনে মঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ সভা করা হয়। বাম কর্মী-সমর্থকেরা এ দিন দুপুরে পুর ভবনের মূল গেট আটকে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
অশোকনগর শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৪৩
Share: Save:

বাম দলগুলি এবং কংগ্রেসের স্মারকলিপি কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভায়। অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে গোটা চারেক মিছিল আলাদা আলাদা ভাবে পুর ভবনের সামনে পৌঁছয়। মিছিলে আদিবাসী মানুষেরা তির-ধনুক। নিয়ে এসেছিলেন। পুরভবনের সামনে মঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ সভা করা হয়। বাম কর্মী-সমর্থকেরা এ দিন দুপুরে পুর ভবনের মূল গেট আটকে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ভিতরে পুর কর্মী ও তৃণমূলের কাউন্সিলেরা আটকে পড়েন। কয়েক জন তৃণমূল কাউন্সিলর গেট খুলে বাইরে আসার চেষ্টা করলে বামেদের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

কয়েক বছর আগে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা থেকে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং মিড ডে মিলের প্রায় তিন কোটি তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। গরিব মানুষদের ওই টাকা পুরসভায় ফিরিয়ে আনার দাবিতে মঙ্গলবার পুরপ্রধান প্রবোধ সরকারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সার্বিক পুর পরিষেবায় ব্যর্থতা ও বাড়ি তৈরিতে কাটমানি নেওয়া, এবং জঞ্জাল পরিস্কার হয় না বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।

পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘‘গরিব মানুষদের তছরুপ হওয়া প্রায় তিন কোটি টাকা ফেরানোর দাবিতে এর আগেও আমরা পুরসভায় স্মারকলিপি দিয়েছি। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়েও আমরা দাবি করেছি। যদিও ওই টাকা আজও ফেরানো সম্ভব হয়নি।’’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের আমলে ওই টাকা তছরুপের ঘটনাটি ঘটেছিল। দু’টি সংস্থাকে চেক ও নগদে টাকা দেওয়া হয়েছিল। যদিও ওই দু’টি সংস্থার সঙ্গে পুরসভার কোনও বিষয়ে আর্থিক লেনদেন ছিল না বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি।

বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার তছরুপের ঘটনায় ২০১৬ সালে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। প্রবোধ বলেন, ‘‘পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছিল। ওই টাকা পুরসভায় তহবিলে ফিরিয়ে আনতে জেলা আদালতে মামলা করেছি। টাকা ফেরনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২৬ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। যত দিন না টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছে আইনি লড়াই চলবে।’’

প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী কর বলেন, ‘‘পুর পরিষেবা বেহাল। শংসাপত্র দিতেও এখানে কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। তোলাবাজি চলছে। গরিব মানুষদের বাড়ি তৈরিতে কাটমানি খাওয়া হচ্ছে।’’ পুরপ্রধান অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ভোটের আগে বাজার গরম করতে চাইছে ওরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Left Congress Ashoknagar Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE