Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কর্মীর অভাবে ধুঁকছে সাগরের গ্রন্থাগারগুলি

মে মাসেই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এসে ঘটা করে উদ্বোধন করে যান চকফুলডুবির পাঠাগারটির নতুন ভবনের। আগে তা পাশের একটি ক্লাবে চলত। মন্ত্রী উদ্বোধন করার পরেও নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়নি পাঠাগার।

শান্তশ্রী মজুমদার
সাগর শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ০২:১৮
Share: Save:

প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা খরচ করে নতুন বাড়ি তৈরি হয়েছিল। মে মাসে মন্ত্রী এসে উদ্বোধনও করে গিয়েছেন। কিন্তু এখনও চালু হল না সাগরের নেতাজি সুভাষ পাঠাগার। কারণ, গ্রন্থাগারিকই নিয়োগ হয়নি।

শুধু ওই পাঠাগারটি নয়, সাগর ব্লকে পাঁচটি সরকারি গ্রন্থাগারের মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সবগুলিই ধুঁকছে। যদিও দ্রুত কর্মী নিয়োগের সুপারিশ করার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা।

মে মাসেই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এসে ঘটা করে উদ্বোধন করে যান চকফুলডুবির পাঠাগারটির নতুন ভবনের। আগে তা পাশের একটি ক্লাবে চলত। মন্ত্রী উদ্বোধন করার পরেও নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়নি পাঠাগার।

পাঠক সংখ্যা প্রায় ২০০ ছিল। এখন কমতে কমতে হাতে এখন কয়েকজনে এসে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষক তথা গ্রন্থাগারের পাঠক অশোকতরু বেরা প্রায় ৪০ বছর ধরে যাতায়াত করছেন এখানে। তাঁর কথায়, ‘‘আমার বাপ-দাদাদের হাতেই প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ওই গ্রন্থাগার। বই নিতাম নিয়মিত। ছ’মাস আগে অবসর নিয়েছেন কর্মীরা। এখন আর বই কোথায় পড়ব?’’

কেন স্থানান্তর হচ্ছে না পাঠাগার?

গ্রন্থাগারের সম্পাদক তথা তৃণমূল নেত্রী কবিতা বেরা বলেন, ‘‘আসবাব নেই, আলোর ব্যবস্থা নেই। কোনও কর্মী নিয়োগ হয়নি। কী ভাবে নতুন বাড়িতে গ্রন্থাগার চলবে। তবে সপ্তাহে একদিন করে চালানো হচ্ছে পুরনো জায়গায়।’’

সাগরের বাকি গ্রন্থাগারগুলিও চলছে খুঁড়িয়ে। কোনওটিতে গ্রন্থাগারিক বা সহকারী গ্রন্থাগারিক নেই। ঘোড়ামারা দ্বীপে দীর্ঘ দিন থেকে সরকারি কর্মী না থাকার কারণে বন্ধ হয়ে রয়েছে গ্রন্থাগার। সাগর টাউন লাইব্রেরির অবস্থাও শোচনীয়। একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক রয়েছেন, তবে সে রকম কোনও কর্মতৎপরতা নেই গ্রন্থাগারে। পাঠক কার্যত আসেন না। চেমাগুড়িতে সরকারি গ্রন্থাগার চলছে একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর ভরসায়। সাগরের কালীগিরির কাছে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সাধারণ পাঠাগার এখানে একজন গ্রন্থাগারিক রয়েছেন। এটিই ব্লকের ‘মডেল গ্রন্থাগার’। একমাত্র সেটি চলছে মোটামুটি ভাল ভাবে। পাঠক কমলেও নানা রকমের অনুষ্ঠান এবং কর্মসূচি পালন করে পাঠক বাড়ানোর চেষ্টাও চলে বছরভর।

বিধায়ক বঙ্কিমবাবু নিজেই এই গ্রন্থাগারের প্রশাসক। তাঁর দাবি, লোক নিয়োগের সমস্যা থাকার জন্যই গ্রন্থাগারগুলি ধুঁকছে। বিধায়কের কথায়, ‘‘ব্লকের গ্রন্থাগারগুলিকে আরও জনমুখী করে তোলা যাচ্ছে না একমাত্র পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে। এ ব্যাপারে গ্রন্থাগারমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sagar Library
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE