Advertisement
E-Paper

গাছ বাঁচাতে দানা বাঁধছে প্রতিবাদ

যশোর রোড সম্প্রসারণের জন্য গাছ কাটার প্রতিবাদে আন্দোলন দানা বাঁধছে দিকে দিকে। বনগাঁ ইতিমধ্যেই তার আঁচ পেয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাবরার মানুষও সাক্ষী থাকলেন, গাছের জন্য মানবিক অনুভূতির।

সীমান্ত মৈত্র

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৭ ০২:৩৯
মিছিল: গাছ কাটার প্রতিবাদে। নিজস্ব চিত্র

মিছিল: গাছ কাটার প্রতিবাদে। নিজস্ব চিত্র

যশোর রোড সম্প্রসারণের জন্য গাছ কাটার প্রতিবাদে আন্দোলন দানা বাঁধছে দিকে দিকে। বনগাঁ ইতিমধ্যেই তার আঁচ পেয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাবরার মানুষও সাক্ষী থাকলেন, গাছের জন্য মানবিক অনুভূতির।

হাবরা স্টেশন চত্বরে সন্ধের দিকে জমায়েত হয়েছিলেন বহু মানুষ। মছলন্দরপুর ইমন মাইম সেন্টারের উদ্যোগে ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’ নামে মূকাভিনয় উপস্থাপিত হয়। সেন্টারের কর্ণধার ধীরাজ হাওলাদার জানান, মূকাভিনয়ের বিষয়বস্ত ছিল একটি গাছ এবং তাকে ঘিরে এক দম্পতির আবেগ। ওই গাছটি লাগিয়ে তাকে সন্তানস্নেহে বড় করেছিলেন দম্পতি। চোরেরা এসে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ায় সন্তান হারানোর বেদনায় কাতর হয়ে ওঠেন তাঁরা।

গাছ কেটে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে হাবরা শহরে। শুক্রবার স্থানীয় প্রমিথিউস সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে শহরে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য, যশোর রোড বা ৩৫ নম্বর জাতীয় সম্প্রসারণের জন্য যে হাজার চারেক গাছ কেটে ফেলার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলা।

গাছের জন্য পথ হেঁটেছেন শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষ। ছিল ব্যানার-পোস্টার। তাতে লেখা ছিল, ‘গাছ বাঁচাও, ভবিষ্যত বাঁচাও।’ ছিল আলোচনা সভা। সেখান গাছ নিয়ে আলোচনা করেন টাকি গর্ভমেন্ট কলেজের উদ্ভিদবিদ্যার শিক্ষক শুভ্রদীপ দে। প্রমিথিউজের পক্ষে সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা রাস্তা সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু আমরা চাই, গাছ বাঁচিয়ে রাস্তার কাজ করা হোক।’’ বিকল্প উপায়ের কথাও জানিয়েছেন তিনি। কী সেটি? সুশান্তবাবুর মতে, যশোর রোডের পাশে পর্যাপ্ত সরকারি জায়গা আছে। যা রাস্তা চওড়া করার জন্য যথেষ্ট। ফলে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া যেন কোনও গাছ কাটা না হয়। তিনি জানান, বনগাঁর খলিতপুর থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা মাঝে গাছ রেখেই চওড়া করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শহরেও এমন উদাহরণ আছে বলে তাঁর দাবি।

বারাসত থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত যশোর রোডে পাঁচটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ তৈরির জন্য বারাসত, অশোকনগর, হাবরা ও বনগাঁয় যশোর রোডের পাশের প্রাচীন সব গাছ কাটার কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত অবশ্য তা বন্ধ আছে। সোমবার ফের মামলার শুনানি।

Save Tree Protest Tree Rally Habra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy