সাজ: বিয়েবাড়ি। নিজস্ব চিত্র
সৎ মায়ের অত্যাচারে কিশোরীকে ঘর ছাড়তে হয়েছিল। এ দিক ও দিক ঘুরে সে হাজির হয় তৃণমূল কার্যালয়ে। নেতারা তাকে আশ্রয় দিয়ে লালন পালন করে বুধবার ধুমধাম করে বিয়ে দিলেন।
ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের আমিড়া গ্রামের ইয়াসিন পালোয়ানের প্রথম স্ত্রী এক মেয়ে পুতুল ও ছেলে মরসেলিমকে রেখে মারা যান। সেটা প্রায় দু’বছর আগের ঘটনা। দ্বিতীয় বিয়ে করেন ইয়াসিন। দ্বিতীয় স্ত্রীর অত্যাচার শুরু হয় মেয়ের উপরে। ঘর ছাড়তে বাধ্য হয় দুই ভাইবোন।
কয়েক দিন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়েও সুবিধা হয়নি। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার পরামর্শে ছেলেমেয়ে দু’টি হাজির হয় সরিষায় দলীয় কার্যালয়ে। ব্লক সভাপতি অরুময় গায়েন ভাইবোনকে আশ্রয় দেন। খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করেন। পুকুলকে পাঠানো হয় স্থানীয় পাঁচশত গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জুলফিকার শেখের বাড়িতে। সেখানেই দু’বছর ধরে ছিল সে।
পুতুলের আঠারো বছর বয়স হওয়ার পরে বিয়ের ঠিক হয়। মাতপুর গ্রামের দর্জি নাজিবুল খাঁ পাত্র হিসাবে মনপসন্দ হয় সকলের। রায়চকের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় বুধবার।
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পারুলিয়া কোস্টালের ওসি-সহ তৃণমূলের কিছু নেতা। সকলেই চাঁদা তুলে দম্পতির উপহার থেকে এলাহি খাবারের ব্যবস্থা করেন।
বিয়ের আসরে বসার আগে পাত্রী বলেন, ‘‘এঁরা সকলে আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলেই ঘর বাঁধার সুযোগ পেলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy