—প্রতীকী চিত্র।
বারবার ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত বাগদার মানুষ। গত ছ’মাসে তিনটি বড়সড় ডাকাতির ঘটনা ঘটে গিয়েছে বাগদার বিভিন্ন এলাকায়। কোথাও গাড়ি করে, কোথাও পায়ে হেঁটে এসেছে ডাকাতদল। আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতি করে নির্বিঘ্নে চলে গিয়েছে তারা। কোথাও লুঠপাটের সঙ্গে সঙ্গে মারধরও করা হয়েছে বাড়ির লোকজনদের।
গত ডিসেম্বর মাসে বাগদার বৈকোলা গ্রামে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। চলতি সপ্তাহেই, গত বুধবার রাতে বাগদার পারমাদন গ্রামে বিশ্বনাথ কর্মকারের বাড়িতে চড়াও হয় ছ’জনের ডাকাতদল। তারা ঘুমন্ত গৃহকর্তাকে ঘুম থেকে তুলে তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে ভয় দেখায়। মারধরও করে। আলমারি, শো-কেস ভেঙে সোনাদানা ও টাকাপয়সা লুঠ করে পালায়। মুখ দিয়ে আওয়াজ বেরোলে খুনের হুমকিও দেয়। বিশ্বনাথবাবু পরে বলেন, ‘‘আচমকা ঘুম ভেঙে মনে হয়েছিল স্বপ্ন দেখছি। পরক্ষণেই মাথায় ঠান্ডা নলের ছোঁয়া পেয়ে ও খুনের হুমকি শুনে বুঝে যাই, এ ঘোর বাস্তব।’’ বৃহস্পতিবার বাগদা থানায় অভিযোগ করা হয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শেষ তিনটি ডাকাতির ঘটনার প্রথমটিতে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয় এবং ডাকাতি হওয়া কিছু সামগ্রী উদ্ধারও করা গিয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। কিন্তু ডিসেম্বরের ও গত বুধবারের ডাকাতি দু’টির ক্ষেত্রে পুলিশ এখনও কোনও কিনারা করতে পারেনি। তবে বৈকোলা এবং পারমাদন গ্রামের ডাকাতি দু’টি একই দলের কীর্তি হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। দু’টি ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীরা বারমুডা, গেঞ্জি পরে গামছা ও চাদরে মুখ ঢেকে এসেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বারবার ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাগদা এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘‘রাতে এলাকায় পুলিশি টহল প্রায় দেখাই যায় না। বিভিন্ন বাজার এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ার থাকলেও তাঁদের কাছে কোনও অস্ত্র থাকে না। ফলে, দুষ্কৃতীরা সামনে দিয়ে চলে গেলেও কার্যত কিছুই করতে পারেন না তাঁরা।’’ বাগদার বেশ কিছুটা অঞ্চল বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। সীমান্তের অনেকটা অংশেই নেই কাঁটাতারের বেড়া। সেখান দিয়ে রাতের অন্ধকারে সহজেই দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে। কয়েকবছর আগে নদী পার হয়ে বাংলাদেশি ডাকাতরা বাগদার কাশীপুর গ্রামে ঢুকে ডাকাতি করে গিয়েছিল বলেও জানাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
বনগাঁর এসডিপিও অনিলকুমার রায় বলেন, ‘‘আমরা দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy