Advertisement
E-Paper

রবিবাসরীয় প্রচারে যুযুধান সমস্ত রাজনৈতিক দলই

এ দিন সকাল সকাল ঘরে পাতা দইয়ের সঙ্গে চিঁড়ে-কলা খেয়ে প্রচারে বেরন কংগ্রেস প্রার্থী কাজি আব্দুর রহিম দিলু। বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাট বাজারে ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৫৩
মথুরাপুরকেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া। ছবি: দিলীপ নস্কর।

মথুরাপুরকেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী চৌধুরী মোহন জাটুয়া। ছবি: দিলীপ নস্কর।

চড়া রোদ উপেক্ষা করে রবিবার ছুটির দিনে চুটিয়ে প্রচার সারলেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। প্রার্থীরা কেউ চালালেন সাইকেল। কেউ লিখলেন দেওয়াল। কেউ বৈঠক করলেন বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে। সব মিলিয়ে সরগরম রইল বসিরহাটের পরিবেশ।

এ দিন সকাল সকাল ঘরে পাতা দইয়ের সঙ্গে চিঁড়ে-কলা খেয়ে প্রচারে বেরন কংগ্রেস প্রার্থী কাজি আব্দুর রহিম দিলু। বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাট বাজারে ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে। কখনও হেঁটে কখনও সাইকেল চালিয়ে প্রচার সারেন। ওই সময়ে একটি গাড়ি এক প্রতিবন্ধীর দিকে এগিয়ে আসছিল। বিপদ হতে পারে বুঝতে পেরে দৌড়ে গিয়ে গাড়ি থামান আব্দুর রহিম দিলু। আপ্লুত প্রতিবন্ধী সালাম গাজি দিলুকে আশীর্বাদ করেন।

শনিবার রাতে এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নানা মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। কয়েকদিন আগে সায়ন্তন বলেছিলেন, কেউ ভোট লুট করতে এলে কেন্দ্রীয় বাহিনী পা লক্ষ্য করে নয়, যেন বুক লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মহিলারা যেন দা-বঁটি নিয়ে পাহারা দেন। হুমকি দিলে প্রয়োজনে দু’চারটেকে যেন সাবাড়ও করে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সায়ন্তনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে তাঁকে শোকজও করা হয়। এ বার তিনি তৃণমূলের সঙ্গে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের যোগ-সহ নানা আপত্তিকর মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ বিষয়ে দিলু বলেন, ‘‘বিতর্কিত মন্তব্য করে, গন্ডগোল বাধিয়ে শান্তিপূর্ণ বসিরহাট এলাকায় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বহিরাগত বিজেপি প্রার্থী চক্রান্ত করে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাব।’’

শশা, মুড়ি খেয়ে বসিরহাটের হরিশপুর গ্রামে সকালে প্রচারে বেরিয়েছিলেন সিপিআই প্রার্থী পল্লব সেনগুপ্ত। বিকেলে তিনি বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বৈঠক করেন। বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পল্লব বলেন, ‘‘নির্বাচনে প্রার্থীর মুখে মানুষ দলের প্রতিশ্রুতি, সাফল্য এবং ব্যর্থতার খতিয়ান শুনতে চান। সেখানে বিজেপি প্রার্থী বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছেন। যদি সত্যই বসিরহাট জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটি হয়ে থাকে তা হলে তার দায় তো কেন্দ্রীয় সরকার এড়াতে পারে না! সীমান্তে তো বিএসএফ পাহারা দেয়। তা হলে কী ভাবে জঙ্গি ঢুকছে?’’ তিনি আরও জানান, মানুষ যাতে সুষ্ঠু ভাবে ভোট দিতে পারেন এবং প্রশাসন যাতে নিরপেক্ষ ভূমিকা নেয়, সেই মর্মে আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে বলা হবে।বসিরহাটে প্রথম দফার প্রচার সেরে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত ফিরে গিয়েছেন। আবার আসবেন ৫ এপ্রিল। তা জানিয়ে তৃণমূলের কনভেনার ফিরোজ কামাল গাজি বলেন, ‘‘সায়ন্তন অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসার দরকার। না হলে ভোট চাইতে এসে কেউ মানুষে-মানুষে বিভেদের কথা বলেন? উনি আসলে বসিরহাটের শান্তির পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছেন। আমরা ওঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু-মুসলিম আমার ভাই। বসিরহাটে হাঙ্গামা বাধিয়েছিল বাংলাদেশি হুজি-জামাতেরা। কয়েকজন তৃণমূল নেতার প্রত্যক্ষ মদতে বসিরহাটে যে হুজি-জামাতেরা ঘাঁটি গেড়েছে, তা একজন চৌকিদার হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। ’’

Lok Sabha Election 2019 Basirhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy