Advertisement
E-Paper

মতুয়া মেলা শুরু, প্রচার থমকে প্রার্থীর

সোমবার থেকেই দলে দলে ভক্ত ডাঙ্কা, কাঁসির তালে তালে ভিড় করছেন ঠাকুরনগরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:১৬
কামনা সাগরে স্নান করলেন শান্তনু ঠাকুর। মঙ্গলবার ছবি তুলেছেন নির্মাল্য প্রামাণিক।

কামনা সাগরে স্নান করলেন শান্তনু ঠাকুর। মঙ্গলবার ছবি তুলেছেন নির্মাল্য প্রামাণিক।

ঠাকুরনগরে মঙ্গলবার থেকে শুরু হল মতুয়া ধর্ম মহামেলা। এ দিন সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে (পুকুর) পুণ্যস্নানের মাধ্যমে শুরু হয় মেলা। প্রতি বছর মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই মেলা হয়।

সোমবার থেকেই দলে দলে ভক্ত ডাঙ্কা, কাঁসির তালে তালে ভিড় করছেন ঠাকুরনগরে। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে তো বটেই, অনেকে বাংলাদেশ থেকেও এসেছেন।

সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি, বনগাঁর বিদায়ী সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন, ‘‘এ বার মেলায় প্রায় তিরিশ লক্ষ ভক্ত আসবেন বলে আমরা মনে করছি।’’

ঠাকুরবাড়ির সদস্য, তথা সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর এ বার বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এ দিন সকালে তিনিও কামনা সাগরে স্নান সেরেছেন। প্রচারে বেরোননি। বললেন, ‘‘কামনা সাগরে পুণ্যস্নান করাটা আমাদের ধর্মীয় ও পারিবারিক রীতি।’’

ঠাকুরবাড়ির দুই সদস্য ভোটের লড়াইয়ে মুখোমুখি। এই পরিস্থিতিতে ধর্মমেলা নিয়েও রাজনীতির আকচাআকচি শুরু হয়েছে। তৃণমূলকে আক্রমণ করে শান্তনু বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সিন্ডিকেট বানিয়ে মেলার দখল নিতে চাইছে। অথচ আলোর ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়নি। ধর্মীয় স্থান থেকেও তৃণমূল টাকা তুলছে।’’

যা শুনে মেলা কমিটির সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা ধ্যানেশনারায়ণ গুহ বলেন, ‘‘মেলা থেকে টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করাটা শান্তনু ও তাঁর বাবা মঞ্জুলের অভ্যাস। সে প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। মেলা আয়োজন করতে রাজ্য সরকার প্রচুর সাহায্য করেছে।’’ ধ্যানেশের দাবি, হাইকোর্ট মমতা ঠাকুরকে মেলা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু শান্তনুরা তা মানছেন না। মেলার মাঠে জল জমে যাওয়ায় দোকানিদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। মমতা বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এমনটা হয়েছে। জমা জল বের করা হচ্ছে। বালিও ফেলা হচ্ছে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী মমতাও এ দিন প্রচারে যাননি। তাঁকে দেখা গেল সদ্য প্রয়াত বড়মা, বীণাপানি ঠাকুরের ঘরের বারান্দায়, তাঁর আবক্ষ মূর্তির পাশে বসে ভক্তদের আশীর্বাদ করতে। মূর্তিটি করে দিয়েছেন বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ।

এই প্রথম বড়মার অনুপস্থিতিতে মেলা হচ্ছে। ভক্তেরা মেলায় এসে স্নান সেরে বড়মার আশীর্বাদ নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। এ বার তিনি নেই। ফলে মন খারাপ অনেক ভক্তের। তাঁরা বড়মার আবক্ষ মূর্তিতে প্রণাম সারছেন।

Lok Sabha Election 2019 লোকসভা ভোট ২০১৯ Matua Mela
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy