ইছামতী নদীর পাড় সাজিয়ে তোলা জন্য কাটা হচ্ছে গাছ। — নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথা বসিরহাটের হাসনাবাদে। কাঠাখালি নদীর উপরে সেতুর কাজের শিলান্যাস করবেন তিনি। একই সঙ্গে হিঙ্গলগঞ্জ এবং সন্দেশখালিতে কয়েকটি আর্সেনিক মুক্ত জলের প্রকল্প এবং বসিরহাট-ঘোজাডাঙার মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য ওল্ড সাথক্ষিরা রাস্তার শিলান্যাসও করা হবে। তাঁর থাকার কথা টাকির জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের বাংলোয়। তাই সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে টাকির ইছামতীর ধার। রাস্তা চওড়া হচ্ছে। পরিষ্কার হচ্ছে নদীর ধারের গাছগাছালি। সাজছে সরকারি বাংলো।
হাসনাবাদ স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা হবে। তাই মঙ্গলবার সেখানে গিয়েছিলেন বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিশ আলি, জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থ ভৌমিক, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামীরা। টাকির পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘৭ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথা। সে জন্যই নদীর ধারের আগাছা সাফ করে এবং পর্যটকদের সুবিধার জন্য খানিকটা রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সেতু এবং জল প্রকল্পের কাজ শুরু করবেন। এ বার এক গাড়িতে করে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ সরাসরি কলকাতায় যেতে পারবেন।’’ সাংসদ জানান, সেতু হলে কলকাতা-সহ দেশ-বিদেশের পর্যটকেরাও সরাসরি সুন্দরবন যাওয়ার সুবিধা পাবেন। এতে সুন্দর বন এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে। হিঙ্গলগঞ্জের মানুষ উপকৃত হবেন।
কিন্তু সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের একটাই প্রশ্ন, হাসনাবাদে কাঠাখালি সেতু বাস্তবে শেষ হবে তো? প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিকও নয়। কারণ, ২০০৬ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে কাঠাখালির উপরে সেতুর শিলান্যাস করেছিলেন। কথা মতো তিন বছরের মধ্যে শেষ করার ছিল কাজ। তা তো হয়ইনি, উল্টে ছ’বছর পরে জানা যায়, জলের মধ্যে তৈরি দু’টি পিলার অকেজো।
এরপরে কেটে গিয়েছে আরও কয়েকটি বছর। রাজ্যে সরকার বদল হয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। মুম্বই, যাদবপুর এবং খড়গপুর-সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিশেষজ্ঞ দলের আসা-যাওয়া এবং নানান যন্ত্রের সাহায্যে পিলার পরীক্ষার পরে জানা যায়, আগের তৈরি পিলার দু’টি ভেঙে নতুন করে করতে হবে সেতুর কাজ।
২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৎকালীন পূর্ত ও সড়ক দফতরের মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার হাসনাবাদে এসে জানান, দু’এক বছরের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করে সেতুর উদ্বোধন করা হবে। এরপরেও দীর্ঘ সময় অতিবাহিত। সামনেই ২০১৬ সালে বিধানসভার নির্বাচন। সেই লক্ষেই কি সেতু তৈরির প্রচেষ্টা, কটাক্ষ শোনা যাচ্ছে নানা মহলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy