পুলিশ পরে গ্রেফতার করেছে ওই শিক্ষককে। ফাইল চিত্র।
বাড়ির অমতে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। স্বামী তখনও বেকার। টাকার টানাটানি। তবু সুখে ছিলেন।
বিয়ের বছর দু’য়েকের মাথায় স্বামী চাকরি পান প্রাথমিক স্কুলে। সংসারে আনন্দের পরিবর্তে তৈরি হয় অশান্তির পরিবেশ।
অভিযোগ, তরুণীর পড়াশোনা বেশি দূর এগোয়নি। চাকরি পাওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নিতে সমস্যা তৈরি হয় মাস্টারমশাইয়ের। অভিযোগ, স্ত্রীকে সামাজিক ভাবে পরিচয় দিতেও ইতস্তত বোধ করতেন তিনি। শুরু হয় শারীরিক-মানসিক নির্যাতন। বুধবার সকালে বছর তিরিশের মহিলার বাপের বাড়িতে খবর যায়, মেয়ে অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, মারা গিয়েছেন তরুণী। মৃতের দাদা থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, জামাই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে বোনকে। পুলিশ পরে গ্রেফতার করেছে ওই শিক্ষককে।
সন্দেশখালির ঘটনা। পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০০৭ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। দুই ছোট সন্তান আছে। তরুণীর দাদা বলেন, ‘‘বোন পড়াশোনা তেমন জানত না। তাই জামাই ওকে নিয়ে লজ্জা পেত। কথায় কথায় অশিক্ষিত বলে অপমান করত। এই নিয়েই ছিল অশান্তি। অনেকবার গ্রামে সালিশি হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বোন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’’ পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরায় মাস্টারমশাই জানিয়েছেন, বুধবার স্ত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা গিয়েছেন। অত্যাচার বা আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ মিথ্যা। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy